চট্টগ্রামের ডবলমুরিং থানায় বেপারিপাড়া এলাকা থেকে আড়াই লাখ ইয়াবা উদ্ধারের ঘটনায় দায়ের করা মামলায় চারজনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। 

সোমবার ( ১৭ অক্টোবর) চট্টগ্রামের ৫ম অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক নারগিস আক্তার এ রায় ঘোষণা করেন।

দণ্ডপ্রাপ্তদের মধ্যে তিনজনকে ২০ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। তারা হলেন, শ্যামল মজুমদার, মো. মামুন হোসেন ও মোছা. আয়শা ছিদ্দিকা। এছাড়া আসামি মো. আবদুল্লাহ আল মামুনকে ৬ মাসের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

বিষয়টি ঢাকা পোস্টকে নিশ্চিত করেছেন আদালতের পেশকার মোহাম্মদ ফরিদ। তিনি বলেন, আড়াই লাখ পিস ইয়াবা উদ্ধারের ঘটনায় দায়ের করা মামলায় তিনজনকে পৃথক ধারায় ২০ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এর মধ্যে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন ১৯৯০ এর ১৯(১) ধারায় প্রত্যককে ১৪ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এছাড়া ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরও ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

এছাড়া মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন ১৯৯০ এর ২০ ধারায় দোষী সাব্যস্ত করে প্রত্যেককে ৬ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে ৫ হাজার টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে প্রত্যেককে আরও ৩ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করা হয়েছে। উভয় দণ্ড একসঙ্গে চলবে। এ এই মামলায় আসামিদের হাজতবাস উল্লেখিত দণ্ডাদেশ থেকে বাদ যাবে।

তিনি আরও বলেন, আসামি মো. আবদুল্লাহ আল মামুনকে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের ১৯৯০ এর ২৫ ধারায় ৬ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত । এছাড়া ৫ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, ২০১৭ সালের ২৭ ডিসেম্বর চট্টগ্রাম নগরীর ডবলমুরিং থানার বেপারি পাড়া এলাকা থেকে আড়াই লাখ পিস ইয়াবাসহ চারজনকে গ্রেপ্তার করে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ। এরপর গোয়েন্দা পুলিশের তৎকালীন এসআই মো. কামরুজ্জামান বাদী হয়ে ডবলমুরিং থানায় একটি মামলা দায়ের করেছিলেন ।

কেএম/এসকেডি