রাজধানীর সিদ্ধেশ্বরীতে সগিরা মোর্শেদ হত্যা মামলায় তার মেয়ে সাদিয়া চৌধুরীর জেরা হয়নি।

মঙ্গলবার (১৭ জানুয়ারি) ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক রফিকুল ইসলামের আদালতে তাকে জেরা করার দিন ধার্য ছিল। তবে বিচারক ছুটিতে থাকায় এদিন জেরার কার্যক্রম অনুষ্ঠিত হয়নি। ট্রাইব্যুনালের ভারপ্রাপ্ত বিচারক জাকির হোসেন আগামী ১ ফেব্রুয়ারি জেরার নতুন দিন ধার্য করেছেন।

সংশ্লিষ্ট আদালতের বেঞ্চ সহকারী শামসুদ্দিন জুম্মন বিষয়টি জানিয়েছেন।

মামলার আসামিরা হলেন—নিহতের ভাসুর ডা. হাসান আলী চৌধুরী এবং তার স্ত্রী সায়েদাতুল মাহমুদা ওরফে শাহীন, শ্যালক আনাস মাহমুদ ওরফে রেজওয়ান ও মারুফ রেজা।

২০২০ সালের ১৬ জানুয়ারি আদালতে অভিযোগ পত্র দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) পুলিশ পরিদর্শক রফিকুল ইসলাম।

অভিযোগ পত্রে তদন্ত কর্মকর্তা উল্লেখ করেন, সগিরা মোর্শেদের পরিবারের সঙ্গে আসামি শাহীনের বিভেদ তৈরি হয়েছিল। এছাড়া শাশুড়ি সগিরাকে অনেক অপছন্দ করতেন ও শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে সগিরা-শাহীনের মধ্যে দ্বন্দ্ব ছিল। সম্বোধন করা নিয়েও পারিবারিক দ্বন্দ্ব ছিল। 

সগিরার কাজের মেয়েকে মারধর করেন আসামি ডা. হাসান আলী চৌধুরী। এ নিয়ে পারিবারিক বৈঠকে সগিরাকে দেখে নেওয়ার হুমকি দেন শাহীন। পরে আসামিরা নিজেদের বাসায় বসে সগিরাকে হত্যার পরিকল্পনা করেন। পরিকল্পনা অনুযায়ী ডা. হাসান আলী তার চেম্বারে বসে অপর আসামি মারুফ রেজার সঙ্গে ২৫ হাজার টাকায় হত্যার চুক্তি করেন। 

১৯৮৯ সালের ২৫ জুলাই সগিরাকে গুলি করে হত্যা করেন মারুফ রেজা ও আনাস মাহমুদ। ওই ঘটনায় সগিরার স্বামী বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।

২০২১ সালের ২ ডিসেম্বর সগিরা মোর্শেদের ভাসুরসহ চারজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েশের আদালত। এর মধ্য দিয়ে দীর্ঘ ৩১ বছর পর এ মামলার আনুষ্ঠানিক বিচারকাজ শুরু হয়। এরপর গত বছরের ১১ জানুয়ারি  আদালতে সাক্ষ্য দেন মামলার বাদী ও সগিরা মোর্শেদের স্বামী আব্দুস সালাম চৌধুরী। এর মধ্য দিয়ে এ মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়।

এনআর/কেএ