গাড়ির হর্ন দেওয়ায় উত্তেজিত হয়ে রাষ্ট্রপতির ছেলে রিয়াদ আহমেদ তুষারের গাড়ির চালককে মারধরের মামলায় অভিযোগের সত্যতা না পাওয়ায় আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করেছে পুলিশ।

সম্প্রতি মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ওয়ারী থানার উপ-পরিদর্শক মো. জহির হোসেন আদালতে এ প্রতিবেদন দাখিল করেন। প্রতিবেদন গ্রহণের বিষয়ে আগামী ১ ফেব্রুয়ারি দিন ধার্য রয়েছে।

আদালতের ওয়ারী থানার সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক সালোয়ার হোসেন বিষয়টি ঢাকা পোস্টকে নিশ্চিত করেছেন।

মামলার চূড়ান্ত প্রতিবেদনে বলা হয়, সাক্ষীদের জিজ্ঞাসাবাদে বাদীকে হত্যার উদ্দেশ্যে মারধর করা ও গুরুতর জখম করার কোনো সত্যতা পাওয়া যায়নি। এমনকি বাদীও এ ব্যাপারে কোনো সাক্ষ্য প্রমাণ উপস্থাপন করতে পারেননি। বাদীর চিকিৎসা গ্রহণপত্র পর্যালোচনায় দেখা যায়, আসামিদের মারধরে বাদীর বাম গালে হালকা ব্যথা ও ক্ষত হয়েছে। সেক্ষেত্রে বাদীর আনা অভিযোগ দণ্ডবিধির ১৪৩/৩২৫ ধারায় অপরাধের কোনো সত্যতা পাওয়া যায়নি।

আরও পড়ুন >> রাষ্ট্রপতির ছেলের চালককে মারধর, জবি ছাত্রলীগকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, এজাহারনামীয় আসামি কৌশিক সরকার সাম্য ও তদন্তে প্রাপ্ত পলাতক আসামি মো. সাজবুল ইসলাম এবং মো. মুনসের আলী হারেজ হর্ন বাজানোকে কেন্দ্র করে মামলার বাদী মো. নজরুল ইসলামকে চড়-থাপ্পড়, কিল-ঘুষি ও লাথি মেরে সাধারণ জখম করে হুমকি দেওয়ায় দণ্ডবিধির ৩২৩/৫০৬/৩৪ ধারায় অপরাধ করেছে বলে প্রতীয়মান হয়। যা অধর্তব্য অপরাধ (ছোট অপরাধ) বলে প্রকাশ পায়।

২০২২ সালের ২৭ জুন মারধর ও হত্যার হুমকির অভিযোগে ভুক্তভোগী চালক নজরুল ইসলাম বাদী হয়ে ওয়ারী থানায় মামলা দায়ের করেন।

মামলার অভিযোগে বলা হয়, ২০২২ সালের ২৬ জুন সন্ধ্যা ৭টার দিকে ড্রাইভার নজরুল ইসলাম বঙ্গভবন থেকে রাষ্ট্রপতির নাতি ইসা আব্দুল্লাহকে (৮) প্রাইভেট পড়াতে রাজধানীর ওয়ারী থানাধীন চামু ডেল্টার মোড়ে নিয়ে যান। সেখান থেকে রাষ্ট্রপতির নাতিকে নামিয়ে দিয়ে বঙ্গভবনের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়ে ওয়ারী থানাধীন টিপু সুলতান রোডের মাথায় পৌঁছালে আসামি কৌশিক সরকার সাম্য মোবাইলে কথা বলতে বলতে রাস্তা দিয়ে যাচ্ছিল। এসময় নজরুল পেছন থেকে গাড়ির হর্ন দিলে আসামি উত্তেজিত হয়ে গাড়ির দিকে ছুটে আসেন এবং বিভিন্ন অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন। একপর্যায়ে তার মুখে থুথু নিক্ষেপ করে এবং গাড়ির পেছনে জোরে লাথি মারেন। আসামির পরিচয় জানার চেষ্টা করলে সে উত্তেজিত হয়ে মোবাইলে অজ্ঞাত ৪/৫ জনকে ডেকে নিয়ে আসেন। এরপর আসামি কৌশিকসহ অন্যরা পরস্পর যোগসাজশে ভুক্তভোগী নজরুলকে গুরুতর আঘাত করার উদ্দেশে মুখে ও পিঠে এলোপাতাড়ি মার দিয়ে হত্যার হুমকি দিয়ে চলে যায়।

এনআর/এফকে