হাইকোর্টের সংগৃহীত ছবি

দুর্নীতিবাজ, অর্থপাচারকারীরা যত বড় রুই-কাতলা হোক না কেন, তাদেরকে আইনের আওতায় আনতে হবে। তাদেরকে ছাড় দিলে চলবে না বলে মন্তব্য করেছেন আদালত।

বুধবার (০২ ডিসেম্বর) বিদেশে পালিয়ে থাকা পি কে হালদারকে ফিরিয়ে আনার বিষয়ে এক শুনানিতে বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি আহমেদ সোহেলের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ মন্তব্য করেন।

এ বিষেয়ে পরবর্তী আদেশের জন্য ৯ ডিসেম্বর (বুধবার) দিন ধার্য করেছেন আদালত।

এ সময়ের মধ্যে বিচারিক আদালতে পি কে হালদারের গ্রেফতারি পরোয়ানার বিষয়ে প্রতিবেদন, মামলার এফআইআর ও সম্পত্তি-অর্থ জব্দের আদেশ দাখিল করতে দুর্নীতি দমন কমিশনকে (দুদক) বলা হয়েছে।   

আদালতে দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী খুরশিদ আলম খান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক।
 
গত ১৮ নভেম্বর একটি জাতীয় দৈনিকে ‘পি কে হালদারকে ধরতে ইন্টারপোলের সহায়তা চাইবে দুদক’ শীর্ষক প্রতিবেদন নজরে এনে ১৯ নভেম্বর তাকে বিদেশ থেকে ফেরাতে এবং গ্রেফতার করতে কি পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে, তা জানতে চেয়ে স্বতঃপ্রণোদিত আদেশ দিয়েছিলেন হাইকোর্ট।

এ আদেশ অনুযায়ী দুদক বুধবার একটি প্রতিবেদন দাখিল করে। সেখানে ইন্টারপোলের সঙ্গে যোগাযোগের কথা তুলে ধরা হয়েছে এবং তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করতে বিচারিক আদালতে আবেদন করা হয়েছে।

শুনানিতে আদালত বলেন, যারা দুর্নীতিবাজ, যারা অর্থপাচার করে তাদেরকে ছাড় দিলে চলবে না। 

এ সময় আইনজীবী খুরশিদ আলম খান একমত পোষণ করেন। তখন আদালত বলেন, তারা যত বড় রুই-কাতলা হোক না কেন, তাদের আইনের আওতায় আনতে হবে। এবং আইনের জালে যারা আটকে যায় এদের বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে হবে। আমাদের সবার উচিত হলো দেশের সম্পদ রক্ষা করা। এটা আমাদের সাংবিধানিক অধিকার। ২১ অনুচ্ছেদ অনুসারে। কাজেই শুধু আদালত করবে অন্যরা করবে তাতো না, সবাইকে করতে হবে। 

আদালত দুর্নীতিবাজদের বিষয়ে আরও বলেন, তারা যাতে আইনের জালে ধরা পড়ে সে দায়িত্ব নিতে হবে। আমাদেরকে সোনার বাংলা গড়ে তুলতে হবে। জাতির জনক স্বপ্ন দেখেছিলেন এ দেশকে সোনার বাংলা গড়ার। কাজেই ওনার যে স্বপ্ন, সে স্বপ্ন বাস্তবায়নের লক্ষ্যে কাজ করতে হবে। 

এক পর্যায়ে আদালত বলেন, খুব দুর্ভাগ্য, আড়াইমাস হয়ে গেলো, একটা অর্ডার হলো না। ওয়ারেন্ট অব অ্যারেস্টের।

পি কে হালদার বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠানের দায়িত্বে থেকে অন্তত সাড়ে তিন হাজার কোটি টাকা লোপাট করেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।

 

জেডএস