হুমকির শাস্তি ১০টি গাছের চারা রোপণ
রাজধানীর কাফরুল থানায় ব্যবসায়ীকে ভয়ভীতি ও প্রাণনাশের হুমকি দেওয়ার একটি মামলায় তিনজনকে শাস্তি হিসেবে ১০টি গাছের চারা রোপণের আদেশ দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে আদালত শাস্তি হিসেবে কয়েকটি শর্তও জুড়ে দিয়েছেন।
সোমবার (২২ মার্চ) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মাহমুদা আক্তার এ আদেশ দেন। মামলার আসামিরা হলেন- জুয়েল হোসেন দেওয়ান, মানিক হোসেন দেওয়ান ও মুজাহিদুল ইসলাম।
বিজ্ঞাপন
সংশ্লিষ্ট আদালতের সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর আজাদ রহমান ঢাকা পোস্টকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, বিচারক রায়ে আসামিকে শাস্তি হিসাবে ১০টি গাছের চারা রোপণের আদেশ দিয়েছেন। এর মধ্যে পাঁচটি বনজ ও পাঁচটি ফলের গাছ।
এছাড়া আদালত আসামিদের দণ্ডবিধি ৪২৭ ও ৫০৬ ধারায় বিদ্যমান অপরাধের শাস্তির পরিবর্তে প্রবেশন অফিসারের তত্ত্বাবধানে ছয় মাসের জন্য কয়েকটি শর্ত পালনের নির্দেশ দিয়েছেন। শর্তগুলো হলো- প্রবেশনকালে (৬ মাস) আসামিরা কোনো অপরাধের সঙ্গে জড়িত হবেন না বা একই ধরনের অপরাধ আর করবেন না। বাদী ও আসামিরা শান্তিতে বসবাস করবেন এবং পরস্পর ভালো ব্যবহার করবেন।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, বাদী মাকসুদ হোসেন সিদ্দিকী দেওয়ান প্রপার্টিজ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক। আসামি জুয়েল দেওয়ান একই কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং অপর দুই আসামি মানিক দেওয়ান ও মুজাহিদুল ইসলাম কোম্পানির পরিচালক ছিলেন। ২০১৪ সালের ২৮ মে সমঝোতা চুক্তির মাধ্যমে আসামিরা কোম্পানি ত্যাগ করেন। সমঝোতা চুক্তি অনুযায়ী অডিট ফার্মের মাধ্যমে যাবতীয় হিসাব করার পর আসামিদের দেনা পরিশোধ করার কথা ছিল। কিন্তু আসামিরা দেনা পরিশোধ না করে বাদীর বিরুদ্ধে বিভিন্ন অপপ্রচারসহ নানাভাবে হুমকি দিতে থাকেন।
বিজ্ঞাপন
২০১৭ সালের ৬ জুন বিকেলে আসামিরা আলাপ-আলোচনার জন্য বাদীর বাসায় আসেন। কথাবার্তার একপর্যায়ে আসামিরা বাদীকে গালিগালাজ করে হুমকি দেন। এ ঘটনায় বাদী কাফরুল থানায় মামলাটি দায়ের করেন। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশের উপ-পরিদর্শক হোসনা আফরোজ আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
টিআই/আরএইচ/