প্রধানমন্ত্রীর সমাবেশস্থলে বোমা রাখার মামলার রায় আজ
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার উদ্দেশ্যে সমাবেশস্থলে বোমা রাখার অভিযোগে দায়ের করা মামলার রায় ঘোষণা করা হবে আজ। রায়ে আসামিদের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড দাবি করছে রাষ্ট্রপক্ষ। অপরদিকে আসামিপক্ষের আইনজীবীরা ন্যায়বিচার প্রত্যশা করছেন।
সোমবার (২২ মার্চ) সংশ্লিষ্ট আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (রাষ্ট্রপক্ষ) আবু আবদুল্লাহ ভূঁইয়া ঢাকা পোস্টকে বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার উদ্দেশ্যে টুঙ্গিপাড়ার কোটালীপাড়ায় সমাবেশস্থলে বোমা রাখার অভিযোগে করা মামলার রায় মঙ্গলবার ঘোষণা করবেন আদালত। আমরা আদালতে সকল আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছি। রায়ে সকল আসামির মৃত্যুদণ্ড আশা করছি।’
বিজ্ঞাপন
অপরদিকে আসামি পক্ষের আইনজীবী শহিদ উল্লাহ ঢাকা পোস্টকে বলেন, ‘আসামিদের মধ্যে মাওলানা রফিকুল ইসলাম খানের পক্ষে সাক্ষ্যপ্রমাণের মাধ্যমে আমরা আদালতে উপস্থাপন করতে সক্ষম হয়েছি, এ ঘটনায় তিনি জড়িত নন। তাই তিনি খালাস পাবেন।’ এছাড়া অপর আসামিদের আইনজীবীরা ন্যায়বিচার প্রত্যাশা করেছেন।
এর আগে গত ১১ মার্চ রাষ্ট্রপক্ষ ও আসামিপক্ষের যুক্তি উপস্থাপন শুনানি শেষে রায় ঘোষণার জন্য আজকের দিন ধার্য করেন ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক আবু জাফর মো. কামরুজ্জামান।
বিজ্ঞাপন
মামলার আসামিরা হলেন- মো. আজিজুল হক ওরফে শাহনেওয়াজ, মো. লোকমান, মো. ইউসুফ ওরফে মোছহাব মোড়ল, মোছহাব হাসান ওরফে রাশু, শেখ মো. এনামুল হক, মো. মফিজুর রহমান ওরফে মফিজ, মো. মাহমুদ আজহার ওরফে মামুনুর রশিদ, মো. রাশেদুজ্জামান ওরফে শিমুল, মো. তারেক, মো. ওয়াদুদ শেখ ওরফে গাজী খান, মো. আনিসুল ইসলাম ও সারোয়ার হোসেন মিয়া। আসামিদের মধ্যে মাওলানা আমিরুল ইসলাম ওরফে জেন্নাত মুন্সী ও মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান জামিনে রয়েছেন।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, ২০০০ সালের ২১ জুলাই গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় শেখ লুৎফর রহমান আদর্শ কলেজ মাঠে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সমাবেশস্থলের পাশে থেকে ৭৬ কেজি ওজনের একটি বোমা উদ্ধার করা হয়। সেখানে পর দিন শেখ হাসিনার সমাবেশ হওয়ার কথা ছিল।
এ ঘটনায় কোটালীপাড়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) নূর হোসেন বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে মামলাটি দায়ের করেন। এরপর ২০০১ সালের ১৫ নভেম্বর সিআইডির সাবেক এএসপি আব্দুল কাহার আকন্দ মামলার অভিযোগপত্র দাখিল করেন। ২০০৪ সালের ২১ নভেম্বর আদালত আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন। বিচার চলাকালে বিভিন্ন সময়ে আদালত মোট ৫০ সাক্ষীর মধ্যে ৩৪ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করেন।
টিএইচ/এসএসএইচ