খাগড়াছড়ি আদালতের পুরনো মামলাগুলো দ্রুত নিষ্পত্তি করতে বিচারকদের প্রয়োজনীয় দিক-নির্দেশনা দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ। তিনি মামলা দ্রুত নিষ্পত্তির লক্ষ্যে সাক্ষীদের যথাসময়ে আদালতে হাজির করার বিষয়ে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে বিচারকদের প্রতি বিশেষভাবে নির্দেশনা দেন।

শনিবার (২৭ মে) খাগড়াছড়ি  জেলা ও দায়রা জজ আদালতে আগত বিচারপ্রার্থীদের জন্য বিশ্রামাগার ন্যায়কুঞ্জ নির্মাণ কাজের উদ্বোধনের পর বিচারকদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় তিনি এ নির্দেশনা দেন।

সকালে আদালত প্রাঙ্গণে ন্যায়কুঞ্জের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ। ৪৫ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মিত এ বিশ্রামাগারটি বাস্তবায়ন করছে খাগড়াছড়ি গণপূর্ত অধিদপ্তর। 

অনুষ্ঠানে বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ বলেন, দেশের সব জেলা জজ আদালতগুলোতে প্রধান বিচারপতির নির্দেশনায় ন্যায়কুঞ্জ স্থাপনের কাজ শুরু হয়েছে। এই ন্যায়কুঞ্জতে দূর-দুরান্ত হতে থেকে সাক্ষীসহ মামলার বিচারপ্রার্থী জনগণ এসে অপেক্ষা করতে পারবে। এই ন্যায়কুঞ্জে দুগ্ধপোষ্য শিশুর মায়ের জন্য ব্রেস্টফিডিং রুমের আলাদা ব্যবস্থা করা হবে। তাছাড়া এখানে বিচারপ্রার্থী জনগণের জন্য শৌচাগারসহ সুপেয় পানির ব্যবস্থা থাকবে। 

তিনি তার বক্তব্যে বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতি যে উদ্দেশ্য ন্যায়কুঞ্জ নির্মাণ করার উদ্যোগ নিয়েছেন সে উদ্দেশ্য যেন ব্যহত না হয় সে বিষয়ে সতর্ক থাকার জন্য সবাইকে নির্দেশনা দেন।

অনুষ্ঠানে জেলা ও দায়রা জজ শাহীন উদ্দিন, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আদালতের বিচারক (জেলাজজ) আজিজুল হক, খাগড়াছড়ি জেলার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সহিদুজ্জামান, সুপ্রিম কোর্ট হাইকোর্ট বিভাগের অতিরিক্ত রেজিস্ট্রার (অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ)   আলমগীর মুহাম্মদ ফারুকী, খাগড়াছড়ির জেলার চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সৈয়দ ওমর ফারুক সুজন, খাগড়াছড়ি জেলার পুলিশ সুপার নাঈমুল হক, খাগড়াছড়ি জেলা বারের সভাপতি আশুতোষ চাকমা, অন্যান্য বিচারক, আইনজীবী, আদালতের কর্মচারী এবং প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।

এমএইচডি/এসএম