মামলাজট নিরসনে মেডিয়েশনের বিকল্প নেই
আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি মোহাম্মদ ইমান আলী বলেছেন, প্রকৃতপক্ষে বাংলাদেশে মামলাজট কমানোর জন্য মেডিয়েশন (মধ্যস্থতা) পদ্ধতি প্রয়োগের বিকল্প নেই। বিচারকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, সুশৃঙ্খল অবস্থায় মেডিয়েশনের প্রশিক্ষণ গ্রহণের পর বিচারকাজে তা প্রয়োগের মাধ্যমে মামলাজট কমানো সম্ভব।
শুক্রবার (২ এপ্রিল) বিকেলে মেডিয়েশন বিষয়ে খুলনা বিভাগের বিচারকদের দুই দিনব্যাপী ভার্চুয়াল প্রশিক্ষণ কর্মশালার সূচনা বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
বিজ্ঞাপন
প্রশিক্ষণ কর্মশালায় ভারতের জম্মু-কাশ্মীর হাইকোর্টের সাবেক প্রধান বিচারপতি গীতা মিতাল বলেন, বিচারকাজে মেডিয়েশনের উপাদানগুলো সূক্ষ্মভাবে প্রয়োগ করতে পারলে সমাজ জীবনে শান্তি প্রতিষ্ঠা সম্ভব। কোরআন ও হাদিসের রেফারেন্স টেনে তিনি বলেন, সাধারণ জনগণকে মেডিয়েশন আন্দোলনে সম্পৃক্ত করতে পারলে বিচার তরান্বিত করা যাবে।
সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি আহমেদ সোহেল, ভারতের সুপ্রিম কোর্টের সাবেক বিচারপতি কুরিয়ান জোসেফ, আফ্রিকা-এশিয়া মেডিয়েশন অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান মেডলিন কিমিই, বিমসের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট এস এন গোস্বামী, আন্তর্জাতিক প্রশিক্ষক কেভিন ব্রাউন, মি. ইনভাবিজায়ান, জামেলা এ. আলী, অ্যাক্রিডিটেড মেডিয়েটর তনুশ্রী রায় ও প্রিয়াংকা চক্রবর্তী প্রশিক্ষণ কর্মশালায় বক্তব্য রাখেন। কর্মশালায় খুলনা বিভাগের ৪০ জন বিচারক অংশগ্রহণ করেন।
বিজ্ঞাপন
বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল মেডিয়েশন সোসাইটির (বিমস) উদ্যোগে ক্রমান্বয়ে সারাদেশের বিচারকদের মেডিয়েশন বিষয়ে প্রশিক্ষণ চলছে। ইতোমধ্যে রংপুর, রাজশাহী ও বরিশাল বিভাগের বিচারকদের প্রশিক্ষণ শেষ হয়েছে। প্রশিক্ষণ কর্মশালায় আপিল বিভাগের বিচারপতি মোহাম্মদ ইমান আলী ও আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন মেডিয়েটররা প্রশিক্ষণ দিচ্ছেন।
এমএইচডি/আরএইচ