৭৫ প্রধান শিক্ষককে ২য় শ্রেণির গেজেটেড পদ প্রদানের নির্দেশ
৩৬তম বিসিএসের নন ক্যাডার হিসেবে নিয়োগ পাওয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৭৫ জন প্রধান শিক্ষককে ২য় শ্রেণির গেজেটেড পদ এবং ১০ম গ্রেড প্রদানের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। এ বিষয়ে হওয়া এক রিটের পরিপ্রেক্ষিতে জারি করা রুল নিষ্পত্তি করে বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি কাজী জিনাত হকের হাইকোর্ট বেঞ্চ সম্প্রতি এ রায় দেন।
মঙ্গলবার (১২ সেপ্টেম্বর) রিটের পক্ষে শুনানি করা অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ ছিদ্দিক উল্লাহ মিয়া রায়ের বিষয়টি ঢাকা পোস্টকে নিশ্চিত করেছেন।
বিজ্ঞাপন
আইনজীবী মোহাম্মদ ছিদ্দিক উল্লাহ মিয়া বলেন, বাংলাদেশ পাবলিক সার্ভিস কমিশন ২০১০ সাল থেকে প্রথম শ্রেণির গেজেটেডের পাশাপাশি বিসিএসের মাধ্যমে নন ক্যাডার হিসেবে ১ম ও ২য় শ্রেণির বিভিন্ন পদে নিয়োগ প্রদান শুরু করে। ২০১৪ সালে নন ক্যাডার নিয়োগ বিধিমালা আংশিক সংশোধন করে দ্বিতীয় শ্রেণির গেজেটেড পদগুলো পিএসসির আওতায় আনা হয়।
এ বিধিমালার আলোকে ২০১৭ সালে ৩৬তম বিসিএসে ৩৩০৮ জনকে নন ক্যাডার হিসেবে সরকারের বিভিন্ন দপ্তরে ২য় শ্রেণির গেজেটেড পদে (যেটি ১০ম গ্রেড) নিয়োগ প্রদান করা হয়। কিন্তু রিট পিটিশনারদের প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক পদে নিয়োগ দেওয়া হয় ২য় শ্রেণির নন গেজেটেড পদে এবং ১২তম গ্রেডে। এটি ২০১০ সালের নন ক্যাডার নিয়োগ বিধিমালার (সংশোধনী ২০১৪) সরাসরি লঙ্ঘন।
বিজ্ঞাপন
একই বিসিএস থেকে একসঙ্গে নিয়োগপ্রাপ্ত অন্য দপ্তরের সকল পদগুলো দ্বিতীয় শ্রেণির গেজেটেড এবং ১০ম গ্রেডভুক্ত। আর রিটকারীদের রাখা হয়েছে নন গেজেটেড এবং ১২তম গ্রেডে। যা তাদের প্রতি বৈষম্যমূলক এবং সংবিধানের ২৭ ও ২৯ অনুচ্ছেদের লঙ্ঘন। এ কারণে বৈষম্যের শিকার হওয়া ৭৫ জন প্রধান শিক্ষক ২০১৯ সালে হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন।
কুড়িগ্রামের মাহবুবুল আলম, জামালপুরের মিজানুর রহমান, কুষ্টিয়ার জাকিরুল ইসলামসহ বিভিন্ন জেলার ৭৫ জন প্রধান শিক্ষক এ রিট দায়ের করেন।
রিটের শুনানি নিয়ে ২০১৯ সালেই রুল জারি করেন হাইকোর্ট। সেই রুলের চূড়ান্ত শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট তাদের ২য় শ্রেণির গেজেটেড পদ প্রদানের নির্দেশ দেন।
এমএইচডি/এমজে