রাজধানীর বিমানবন্দর এলাকায় শ্রমিক মামুনকে হত্যা মামলায় মোখলেছুর রহমান নামে এক ব্যক্তি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট দেবদাস চন্দ্র অধিকারী তার জবানবন্দি গ্রহণ করেন।

বুধবার (৭ এপ্রিল) আদালতের সংশ্লিষ্ট থানার সাধারণ নিবন্ধন (জিআর) শাখা থেকে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে। এরপর তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

সূত্র জানায়, মঙ্গলবার (৬ এপ্রিল) বিমানবন্দর থানার মামলায় তদন্ত কর্মকর্তা এসআই আব্দুর রহিম আসামি মোখলেছুর রহমানকে আদালতে হাজির করেন। একইসঙ্গে স্বেচ্ছায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিতে সম্মত হওয়ায় তা রেকর্ড করার আবেদন করেন। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারক তার জবানবন্দি গ্রহণ করেন। এরপর তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

এর আগে সোমবার (৫ এপ্রিল) রাতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে বিমানবন্দর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. কবির হোসেন ঢাকা পোস্টকে বলেছিলেন, নির্মাণাধীন ভবন থেকে পড়ে গুরুতর আহত হওয়ার খবর পেয়ে সেখানে যাই। মামুন নামের ওই শ্রমিক বিমানবন্দরের ভেতরে একটি নির্মাণাধীন গ্যারেজে কাজ করত। পরে হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়। 

তিনি বলেন, ঘটনাস্থলে কিছু না পেয়ে হাসপাতালে নিহত মামুনের সহকর্মী ফাহিম ও ঠিকাদার ইকবাল শেখকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। এ সময় ফাহিম স্বীকার করে মামুন ভবন থেকে পড়ে মারা যাননি। তাকে মারধর করে হত্যা করা হয়েছে।

ফাহিমের বরাতে এসআই কবির হোসেন জানান, তারা কয়েকজন বিমানবন্দরে কাজ করছিল। নিচে আরেক শ্রমিক লেলিন দাঁড়িয়ে ছিল। এসময় মজা করতে গিয়ে উপর থেকে লেলিনের শরীরে বালি দেয় মামুন। এ নিয়ে তাদের মধ্যে হাতাহাতি হয়। মামুন এক পর্যায়ে লেলিনের মাথায় রড দিয়ে আঘাত করলে লেলিনের মাথা ফেটে যায়। পরে লেলিনকে হাসপাতালে নেওয়া হয়। 

তিনি আরও বলেন, পরে একত্রে বসে এটার সমাধানও করা হয়। কিন্তু দুপুরে মামুন বাসায় খেতে গেলে লেলিন তার বুকে-পিঠে-মাথায় আঘাত করে। এতে অচেতন মামুন হয়ে যায়। প্রথমে তাকে স্থানীয় হাসপাতালে নেওয়া হলে সেখান থেকে কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হয়। উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢামেক হাসপাতালে নেওয়ার পর কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

নিহত মামুনের বাড়ী দিনাজপুর জেলার চিরিরবন্দর থানার মোহনপুর গ্রামে। তার বাবার নাম মাজেদুল ইসলাম।

টিএইচ/ওএফ