আব্দুল মতিন খসরুর মেয়ে ও ছেলে ছবি : ঢাকা পোস্ট

সদ্য প্রয়াত সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি ও সাবেক আইনমন্ত্রী আব্দুল মতিন খসরুর মেয়ে উম্মে হাবিবা দিলশাদ মুনমুন বলেছেন, বাবা সবকিছু আমাদের বুঝিয়ে দিতে চেয়েছিলেন। কিন্তু তা আর হলো না। তার আগেই মারা গেলেন তিনি।

উম্মে হাবিবা দিলশাদ মুনমুন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) চিকিৎসক। হাসপাতালে ভর্তির পর তিনিই আব্দুল মতিন খসরুর দেখভাল করেছেন। ঢাকা পোস্টের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আইসিইউতে নেওয়ার আগে বাবা আমার কাছে পানি চেয়েছিলেন। এটাই ছিল বাবার সঙ্গে আমার শেষ কথা।

বৃহস্পতিবার (১৫ এপ্রিল) সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে ঢাকা পোস্টের কাছে এভাবেই নিজের কষ্টের অনুভূতির কথা জানান আব্দুল মতিন খসরুর মেয়ে।

আব্দুল মতিন খসরুর ছেলে মুনেম ওয়াসিফ জার্মানিতে ফেলোপিশ করছেন। তিনি ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমার বাবা সারাজীবন দেশের জন্য, মানুষের জন্য কাজ করেছেন। এটা আমাদের গর্ব।

বুধবার বিকেল ৪টা ৪৫ মিনিটে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান আব্দুল মতিন খসরু। করোনায় আক্রান্ত হয়ে তিনি লাইফ সাপোর্টে ছিলেন।  

আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য এবং কুমিল্লা-৫ আসনের সংসদ সদস্য আবদুল মতিন খসরু গত ১৫ মার্চ সংসদ সচিবালয়ে করোনা পরীক্ষার জন্য নমুনা দেন। ১৬ মার্চ সকালে তার রিপোর্টে করোনা পজিটিভ আসে। ওইদিনই তাকে সিএমএইচে ভর্তি করা হয়। 

গত ২৮ মার্চ রাত ১২টার দিকে আব্দুল মতিন খসরুকে আইসিইউতে নেওয়া হয়। পরে ১ এপ্রিল করোনা পরীক্ষায় নেগেটিভ আসে। গত ৩ এপ্রিল তাকে সিএমএইচের আইসিইউ থেকে সাধারণ কেবিনে স্থানান্তর করা হয়। ৬ এপ্রিল সকালে শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে আবার তাকে আইসিইউতে নেওয়া হয়। 

গত ১২ মার্চের নির্বাচনে আব্দুল মতিন খসরু বিপুল ভোটে সুপ্রিম কোর্ট বারের সভাপতি নির্বাচিত হন। এরপর করোনা আক্রান্ত হন তিনি। হাসপাতালে থাকা অবস্থায় গত ১২ এপ্রিল মতিন খসরুর নেতৃত্বাধীন নতুন কমিটি দায়িত্ব বুঝে নেয়। ওই দিনই সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতির কক্ষে আব্দুল মতিন খসরুর নাম ফলক টাঙানো হয়। সেই কক্ষে তিনি বসতে পেরেছিলেন। কিন্তু তার আর বসা হলো না কক্ষে থাকা সভাপতির চেয়ারে

এমএইচডি/এমএইচএস/জেএস