মহান আল্লাহ তায়ালা, মহানবী (সা.), ইসলাম ও অন্যান্য ধর্ম নিয়ে কটূক্তি তথা ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের মামলায় সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড বা যাবজ্জীবন শাস্তির বিধান রেখে আইন প্রণয়নের বিষয়ে সরকারকে পরামর্শ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

মঙ্গলবার বিচারপতি রেজাউল হাসান ও বিচারপতি ফাহমিদা কাদেরের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

আদালত পর্যবেক্ষণে সাইবার নিরাপত্তা আইন-২০২৩ এর আইনে উপরোক্ত অপরাধের বিষয় প্রকাশ করে কোরআন শরিফ, নবী রাসূলসহ সব ধর্মগ্রন্থের বিষয়ে কটূক্তি করলে এই আইনের ধারায় জামিন অযোগ্যসহ সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড অথবা যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের বিধানে মত দিয়েছেন আদালত।

আদালত বলেছেন, পূর্ববর্তী আইনে জামিন অযোগ্য ধারা ছিল। বর্তমান আইনে ধর্মীয় অনুভূতির বিষয়ে কটূক্তি করলে জামিনযোগ্য ধারা হওয়ায় অপরাধ প্রবণতা বাড়ছে।

কুষ্টিয়া ভেড়ামারা উপজেলার সেলিম খান হযরত মোহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে নিয়ে ফেসবুক লিঙ্কে কুরুচিপূর্ণ কমেন্ট করেন। সে মামলায় রুল শুনানিতে ২৫ লাখ টাকা ব্যাংক গ্যারান্টির মাধ্যমে ও ফেসবুকে মহানবীকে নিয়ে বিরূপ পোস্টকারী নাফিসা চৌধুরীর বিরুদ্ধে সাক্ষ্য প্রমাণে পর্যাপ্ত প্রমাণ পায় হাইকোর্ট।

ধারা জামিনযোগ্য হওয়ায় পরে সম্পূরক চার্জশিটের মাধ্যমে তদন্তকারী কর্মকর্তাসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়ে রুল নিষ্পত্তি করে নতুন এ পর্যবেক্ষণ দেন হাইকোর্ট।

ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক বিষয়টি ঢাকা পোস্টকে নিশ্চিত করেছেন।

এমএইচডি/এমজে/পিএইচ