মামুনুল হক

হেফাজতে ইসলামের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হকের বিরুদ্ধে ২০১৩ সালের মতিঝিল থানার নাশকতা মামলায় ১০ দিনের রিমান্ড চায় পুলিশ। রোববার( ২৫ এপ্রিল) আদালতের সংশ্লিষ্ট সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

সূত্র জানায়, বৃহস্পতিবার (২২ এপ্রিল) ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা তদন্ত কর্মকর্তা মামুনুলকে গ্রেফতার দেখানোসহ ১০ দিনের রিমান্ডের আবেদন করেন। মঙ্গলবার (২৭ এপ্রিল) গ্রেফতার দেখানোর আবেদনসহ রিমান্ড শুনানি হতে পারে বলে জানায়।

জানা যায়, মোহাম্মদপুর থানায় করা চুরি ও মারধরের মামলায় মামুনুল হকের ১৯ এপ্রিল সাতদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। এই মামলায় তাকে বর্তমানে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। ২৬ এপ্রিল (সোমবার) সাতদিনের জিজ্ঞাসাবাদ শেষ হবে। ২৭ এপ্রিল (মঙ্গলবার) রিমান্ড শেষে তাকে আদালতে হাজির করা হবে। এরপরই মতিঝিলের মামলায় গ্রেফতার দেখানোসহ তার ১০ দিনের রিমান্ড শুনানি অনুষ্ঠিত হবে।

রোববার (১৮ এপ্রিল) রাজধানীর মোহাম্মদপুরের জামিয়া রাহমানিয়া মাদরাসা থেকে মামুনুল হককে গ্রেফতার করা হয়। পুলিশের তেজগাঁও বিভাগের উপ কমিশনার (ডিসি) হারুন-অর-রশিদ গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, হেফাজতে ইসলামের যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হককে গ্রেফতারের পর তেজগাঁও বিভাগের উপ-কমিশনারের কার্যালয়ে নেওয়া হয়েছে। আপাতত মোহাম্মদপুর থানার মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। অন্য মামলার বিষয়ে পরে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

গত এক মাস ধরে ব্যক্তিগত জীবন আর ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সফরের বিরোধিতা করে হেফাজতের আন্দোলনসহ নানা কারণে আলোচনার কেন্দ্রে আছেন মাওলানা মামুনুল হক। নরেন্দ্র মোদির সফরের সময় ২৬ থেকে ২৮ মার্চ পর্যন্ত সহিংসতায় দেশে ১৭ জনের মৃত্যু হয়। এসব সহিংসতার ঘটনায় সারাদেশে প্রায় অর্ধশতাধিক মামলা হয়েছে। মামুনুলকে এসব ঘটনার মূল ইন্ধনদাতা হিসেবে মনে করছে পুলিশ।

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) সূত্রে জানা যায়, ২৬ মার্চ জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে সহিংসতার ঘটনায় গত ৫ এপ্রিল হেফাজতের যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হকসহ ১৭ জনকে আসামি করে মামলা করা হয়েছে। মামলায় ২ হাজার জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়। ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের উপ-দফতর সম্পাদক খন্দকার আরিফুজ্জামান বাদী হয়ে পল্টন থানায় মামলাটি করেন।

টিএইচ/ওএফ