অরিত্রী অধিকারীর ফাইল ছবি

ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের নবম শ্রেণির ছাত্রী অরিত্রী অধিকারীর আত্মহত্যায় প্ররোচনার মামলায় আসামিপক্ষের আইনজীবী অসুস্থ হওয়ায় সাক্ষ্যগ্রহণ হয়নি।পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য আগামী ৫ জানুয়ারি (মঙ্গলবার) দিন ধার্য করেছেন আদালত।

বুধবার (৯ ডিসেম্বর) দুপুরে ঢাকার তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ রবিউল আলমের আদালত এ দিন ধার্য করেন।
 
সংশ্লিষ্ট আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর মোহাম্মাদ সালাহউদ্দিন হাওলাদার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

মামলার অভিযুক্তরা হলেন- ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ নাজনীন ফেরদৌস, শাখাপ্রধান জিন্নাত আরা।

২০১৯ সালের ১৬ জুলাই আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন আদালত। ২০ মার্চ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) পরিদর্শক কাজী কামরুল ইসলাম ওই দুই আসামির বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় শ্রেণিশিক্ষক হাসনা হেনাকে অব্যাহতি দেওয়ার আবেদন করেন। এরপর বিচারক অব্যাহতির আবেদন মঞ্জুর করে মামলা থেকে তাকে অব্যাহতি দেন।

মামলার অভিযোগে বলা হয়, ২০১৮ সালের ৩ ডিসেম্বর পরীক্ষা চলাকালে অরিত্রীর কাছে মোবাইল ফোন পান শিক্ষক। মোবাইল ফোনে নকল করেছে এমন অভিযোগে অরিত্রীর মা-বাবাকে নিয়ে স্কুলে যেতে বলা হয়। বাবা দিলীপ অধিকারী তার স্ত্রী ও মেয়েকে নিয়ে স্কুলে গেলে ভাইস প্রিন্সিপাল তাদের অপমান করে কক্ষ থেকে বের হয়ে যেতে বলেন। অধ্যক্ষের কক্ষে গেলে তিনিও একই রকম আচরণ করেন। এ সময় অরিত্রী দ্রুত অধ্যক্ষের কক্ষ থেকে বের হয়ে যান। পরে শান্তিনগরে বাসায় গিয়ে বাবা দিলীপ অধিকারী দেখেন, অরিত্রী তার কক্ষে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ওড়নায় ফাঁস দেওয়া অবস্থায় ঝুলছে।ওই ঘটনায় পল্টন থানায় দিলীপ অধিকারী বাদী হয়ে ২০১৮ সালের ৪ ডিসেম্বর মামলাটি দায়ের করেন। 

এ মামলায় ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ নাজনীন ফেরদৌস, শাখাপ্রধান জিন্নাত আরা ও শ্রেণিশিক্ষক হাসনা হেনাকে আসামি করা হয়।

টিএইচ/জেডএস