রোজিনা ইসলাম

প্রথম আলোর জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক রোজিনা ইসলামের বিরুদ্ধে চুরি ও অফিসিয়াল সিক্রেটস আইনে করা মামলায় জামিন শুনানি বৃহস্পতিবার (২০ মে)। ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট বাকী বিল্লার ভার্চুয়াল আদালতে তার এ জামিন শুনানি অনুষ্ঠিত হবে। রোজিনা ইসলামের আইনজীবী প্রশান্ত কুমার কর্মকার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, ‘সাংবাদিক রোজিনা ইসলাম স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দুর্নীতি নিয়ে ইতোপূর্বে যে প্রতিবেদন করেছে তা জনস্বার্থ সংশ্লিষ্ট। তিনি একজন পেশাদার নারী সাংবাদিক। তার বিরুদ্ধে যে ধারায় মামলা করা হয়েছে তা অনাকাঙ্ক্ষিত। রোজিনা ইসলামের একটি শিশু সন্তান রয়েছে, তাছাড়া তিনি শারীরিকভাবে অসুস্থ। সার্বিক বিবেচনা করে আমরা আশা করছি, বৃহস্পতিবার রোজিনা ইসলাম জামিন পাবেন।’
 
এর আগে মঙ্গলবার (১৮ মে) ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ জসিম রিমান্ড নামঞ্জুর করে জামিন শুনানির জন্য ২০ মে দিন ধার্য করেন।

ওই দিন শাহবাগ থানার মামলায় তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক (ওসি তদন্ত) আরিফুর রহমান সরদার ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতে ৫ দিনের রিমান্ড আবেদন করেছিলেন। বিচারক রিমান্ড নামঞ্জুর করেন। এরপর তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

আসামিপক্ষের আইনজীবী প্রশান্ত কুমার কর্মকার সাংবাদিক রোজিনা ইসলামের জামিনের আবেদন করেন। অপরদিকে, রাষ্ট্রপক্ষে ঢাকা মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর আব্দুল্লাহ আবু বিরোধিতা করেন। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে বিচারক রিমান্ড নামঞ্জুর করেন। 

মঙ্গলবার বেলা ১১টার একটু পরে সিএমএম আদালতে তোলা হয়ে রোজিনাকে। এর আগে তাকে শাহবাগ থানা থেকে আদালতে নেওয়া হয়। সকাল পৌনে ৮টার দিকে রোজিনা আদালতে পৌঁছান। সে সময় তাকে আদালতের হাজতখানায় রাখা হয়।

গত ১৭ মে পেশাগত দায়িত্ব পালনের জন্য সাংবাদিক রোজিনা ইসলাম স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে যান। সেখানে ৫ ঘণ্টার বেশি সময় তাকে আটকে রেখে হেনস্তা করা হয়। একপর্যায়ে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। রাত ৯টার দিকে তাকে সচিবালয় থেকে শাহবাগ থানায় আনা হয়। 

এ বিষয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত থাকা একটি ইংরেজি দৈনিকের সাংবাদিক মুক্তাদির রশিদ রোমিও ঢাকা পোস্টকে বলেন, ‘আমরা সচিবালয়ে গিয়ে রোজিনাকে একটি কক্ষে অজ্ঞান অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখি। পরে পুলিশ গিয়ে তাকে উদ্ধার করে বাইরে নিয়ে আসে।’ 

টিএইচ/ওএফ