১৭ মে রাতে শাহবাগ থানায় রেখে পরদিন আদালতে তোলা হয় সাংবাদিক রোজিনা ইসলামকে

চুরি ও অফিসিয়াল সিক্রেটস আইনে দায়ের হওয়া মামলায় অবশেষে জামিন পেয়েছেন প্রথম আলোর জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক রোজিনা ইসলাম। 

আজ (রোববার) ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট বাকি বিল্লাহ রোজিনা ইসলামের পাসপোর্ট আদালতে জমা দেওয়ার দেওয়ার শর্তে ও ৫ হাজার টাকা মুচলেকায় জামিনের এ আদেশ দেন।

রোজিনার আইনজীবী প্রশান্ত কুমার কর্মকার ঢাকা পোস্টকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন,‘প্রথমে রাষ্ট্রপক্ষ মামলার শুনানি করেন এবং রাষ্ট্রপক্ষ শুনানিতে বলেন, যদি রোজিনার পাসপোর্ট আদালতে দাখিল করার শর্তে জামিন দেন সে ক্ষেত্রে তাদের কোনো আপত্তি থাকবে না। এরপর আমরা আসামিপক্ষ থেকে বলেছি এটি কোনো আইনের বিধান নয়। তারপরেও যদি বিচারিক পাসপোর্ট জমা দেওয়ার শর্তে  জামিন দেন আমাদের কোনো আপত্তি নেই। এরপর উভয় পক্ষের শুনানি শেষে বিচারক ৫ হাজার টাকা মুচলেকায় জামিনের এ আদেশ দেন

রোজিনা ইসলামের মুক্তির দাবিতে সাংবাদিকদের আন্দোলন 

এর আগে গত ২০ মে সাংবাদিক রোজিনা ইসলামের পক্ষে জামিনের বিষয়ে শুনানি করেন একাধিক আইনজীবী। অপরদিকে রাষ্ট্রপক্ষ বিরোধিতা করে। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে বিচারক রাষ্ট্রপক্ষের গুরুত্বপূর্ণ নথি উপস্থাপনসহ জামিনের বিষয়ে আদেশের জন্য আজকের দিন ধার্য করেছিলেন।

গত ১৭ মে পেশাগত দায়িত্ব পালনের জন্য সাংবাদিক রোজিনা ইসলাম স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে যান। সেখানে ৫ ঘণ্টার বেশি সময় তাকে আটকে রেখে হেনস্তা করা হয়। একপর্যায়ে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। রাত ৯টার দিকে তাকে সচিবালয় থেকে শাহবাগ থানায় নেওয়া হয়।  সেই রাতেই তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়। 

পরদিন আদালতে তোলা হয় রোজিনাকে। তার রিমান্ড আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন বিচারক।  

সাংবাদিক রোজিনা ইসলামের মুক্তি দাবিতে কয়েক দিন ধরেই প্রতিবাদ ও আন্দোলন চলেছে। আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমেও প্রতিবাদ হয়েছে।

রোজিনা ইসলামের বিরুদ্ধে মামলা, তাকে গ্রেফতার ও তার জামিন হবে কি হবে না, সেটাই গত কয়েকদিন বাংলাদেশের সাংবাদিকদের আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে ছিল। রোজিনা ইস্যুতে সাংবাদিকরা গত কয়েকদিন ধরেই আন্দোলন চালিয়ে আসছিল।  শুক্রবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) মানবন্ধন থেকে হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়- সাংবাদিক রোজিনার জামিন হলেও আন্দোলন চলবে।  

টিএইচ/এনএফ