ঢাকা-৭ আসনের সংসদ সদস্য হাজি সেলিমের ছেলে ইরফান সেলিমের দুই মামলায় জামিন মঞ্জুর করেছেন আদালত। র‌্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত তাকে দণ্ড দিয়েছিলেন। উভয় মামলায় ঢাকার অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ভাস্কর দেবনাথ বাপ্পী জামিন মঞ্জুর করেন। 

মঙ্গলবার (৫ জানুয়ারি) ইরফান সেলিমের দুই মামলার জামিনের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তার আইনজীবী শ্রী প্রাণনাথ।

তিনি বলেন,গত ৩ জানুয়ারি ওয়াকিটকি রাখা ও  আজ (৫ জানুয়ারি) বাসায় অবৈধ মাদক রাখার দায়ে র‌্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালতে সাজাপ্রাপ্ত দুই মামলায় জামিন পান।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ইরফান সেলিম ধানমন্ডি থানার হত্যা চেষ্টা মামলা ও চকবাজার থানার অস্র ও মাদক মামলায় জামিন না পাওয়ায় আপতত মুক্তি পাচ্ছেন না।

গত ২৫ অক্টোবর নৌবাহিনীর লেফটেন্যান্ট ওয়াসিফ আহমদ খান মোটরসাইকেলে করে যাচ্ছিলেন। এ সময় হাজি সেলিমের ছেলে ওয়ার্ড কাউন্সিলর ইরফান সেলিমের গাড়ি তাকে ধাক্কা মারে। এরপর তিনি সড়কের পাশে মোটরসাইকেল থামিয়ে গাড়ির সামনে দাঁড়ান ও নিজের পরিচয় দেন। তখন গাড়ি থেকে ইরফানের সঙ্গে থাকা অন্যরা তাকে মারধর করেন ও মেরে ফেলার হুমকি দেন। তার স্ত্রীকে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করেন।

এ ঘটনায় ২৬ অক্টোবর সকালে ইরফান সেলিম, তার দুই দেহরক্ষী জাহিদুল মোল্লা, এ বি সিদ্দিক দিপু ও গাড়িচালক মিজানুর রহমানসহ পরিচয় উল্লেখ না করে আরো ২-৩ জনকে আসামি করে ওয়াসিফ আহমদ খান ধানমন্ডি থানায় মামলা করেন।

ওইদিন দুপুরে র‌্যাব পুরান ঢাকার চকবাজারে হাজি সেলিমের বাসায় অভিযান চালায়। সেখান থেকে ইরফান সেলিম ও তার দেহরক্ষী জাহিদকে হেফাজতে নেয়। বাসায় অবৈধভাবে মদ ও ওয়াকিটকি রাখার দায়ে র‌্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত তাদের দুই জনকে এক বছর করে কারাদণ্ড দেন। 

পরের দিন ২৭ অক্টোবর র‌্যাব-৩ এর ডিএডি কাইয়ুম ইসলাম চকবাজার থানায় ইরফান সেলিম ও দেহরক্ষী জাহিদের বিরুদ্ধে অস্ত্র ও মাদকের পৃথক চারটি মামলা করেন।

টিএইচ/ওএফ