রাজধানীর পল্লবী থানার চাঁদাবাজির মামলায় লক্ষ্মীপুর-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) ও ইসলামী গণতান্ত্রিক পার্টির চেয়ারম্যান এম এ আউয়ালসহ দু'জনের ২ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। রিমান্ডে নেওয়া অপরজন হলেন সাহিনুদ্দিন হত্যা মামলার টিটু।

বুধবার (২ জুন) ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট হাসিবুল হকের আদালত (ভার্চুয়াল) শুনানি শেষে এ আদেশ দেন।

মেজর (অবসরপ্রাপ্ত) মোস্তফা কামাল গত মাসে ২০ লাখ টাকা চাঁদাবাজির অভিযোগে পল্লবী থানায় মামলাটি দায়ের করেন।

অন্যদিকে গত ২৬ মে সাহিনুদ্দিন হত্যা মামলায় চার দিনের রিমান্ড শেষে আউয়ালকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত। 

১৬ মে রাজধানীর পল্লবীতে নিজ সন্তানের সামনে সাহিনুদ্দীনকে সন্ত্রাসীরা চাপাতি ও রামদা দিয়ে কুপিয়ে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়। ওই ঘটনায় ১৭ মে নিহতের মা আকলিমা ২০ জনকে আসামি করে পল্লবী থানায় হত্যা মামলা করেন। 

মামলার এজাহারে বলা হয়, ১৬ মে বিকেল ৪টার দিকে সুমন ও টিটু নামের দুই যুবক সাহিনুদ্দীনকে জমির বিরোধ মেটানো হবে জানিয়ে ফোন করে ডেকে নেন। সাহিন মোটরসাইকেলে পল্লবীর ডি-ব্লকের ৩১ নম্বর সড়কের ৪০ নম্বর বাসার সামনে গেলে সুমন ও টিটুসহ ১৪-১৫ জন মিলে তাকে টেনে-হিঁচড়ে ওই বাড়ির গ্যারেজে নিয়ে যায়। এ সময় সাহিনের ছয় বছরের ছেলে মাশরাফি গেটের বাইরে ছিল। গ্যারেজে ঢুকিয়ে সাহিনকে চাপাতি, চাইনিজ কুড়াল, রামদা দিয়ে এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকে তারা। এরপর তাকে ওই গ্যারেজ থেকে বের করে ৩৬ নম্বর বাড়ির সামনে আবার কুপিয়ে ফেলে রেখে চলে যায় তারা। ঘটনাস্থলেই সাহিনের মৃত্যু হয়।

নিহতের মা আকলিমার অভিযোগ, পল্লবীর সেকশন-১২ বুড়িরটেকের আলীনগর আবাসিক এলাকার হ্যাভেলি প্রোপার্টিজ ডেভেলপার লিমিটেডের এমডি এবং লক্ষ্মীপুর-১ আসনের সাবেক এমপি এম এ আউয়ালের সঙ্গে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে ভাড়া করা স্থানীয় সন্ত্রাসীরা সাহিনকে হত্যা করেছে। আনুমানিক পাঁচ কোটি টাকা মূল্যের ১০ একর জমি জবরদখলে বাধা দেওয়ায় তাকে খুন করা হয়।

মামলার প্রধান আসামি লক্ষ্মীপুর-১ আসনের সাবেক এমপি ও ইসলামী গণতান্ত্রিক পার্টির চেয়ারম্যান এম এ আউয়াল। অন্য আসামিরা হলেন- ছাত্রলীগের সাবেক নেতা সুমন, মো. আবু তাহের, মুরাদ, মানিক, মনির, শফিক, টিটু, কামরুল, কিবরিয়া, দিপু, আবদুর রাজ্জাক, মরন আলী, লিটন, আবুল, বাইট্যা বাবু, বড় শফিক, কালু ওরফে কালা বাবু, নাটা সুমন ও ইয়াবা বাবু।

টিএইচ/এসএম