অভিনেত্রী আয়েশা আক্তারের (আশা) ট্রাকের ধাক্কায় মৃত্যুর ঘটনায় করা মামলায় গ্রেফতার মোটরসাইকেল চালক শামীম আহমেদকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।

বুধবার (৬ জানুয়ারি) ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত শুনানি শেষে কারাগরে পাঠানোর এ আদেশ দেন।

আদালতের সংশ্লিষ্ট সূত্র এসব তথ্য নিশ্চত  করেছেন।

সূত্র জানায়, দারুস সালাম থানায় মামলায় তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশের উপপরিদর্শক সোহান আহমেদ মোটরসাইকেল চালক শামীম আহমেদকে আদালতে হাজির করেন।একই সঙ্গে তদন্ত শেষ না হওয়া কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন।আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারক এ আদেশ দেন।

গত ৪ জানুয়ারি রাত ২টার দিকে দারুস সালাম টেকনিক্যাল মোড়ে ট্রাকের ধাক্কায় রাস্তায় ছিটকে পড়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান আশা। পরে পুলিশ তার লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠায়।

এ ঘটনায় ৫ জানুয়ারি আশার বাবা আবু কালাম মোটরসাইকেল চালক শামীম আহমেদকে আসামি করে দারুস সালাম থানায় মামলা করেন।

মামলায় এজহারে উল্লেখ করা হয়, আসামি শামীম আহমেদের সঙ্গে আশার পরিচয় ছিল। প্রায়ই শামীম তাদের বাসায় যাতায়াত করতেন। আশার পরিবার তাকে বিশ্বাস ও স্নেহ করতেন। মাঝেমধ্যে অভিনয়ের কাজে আসা-যাওয়ায় সহযোগিতা করতেন শামীম। ৪ জানুয়ারি রাত ১১টার দিকে বনানী অফিস থেকে বের হওয়ার সময় আশা তার বাবাকে ফোন করে বলেন, ‘আমি কিছুক্ষণের মধ্যে বাসায় আসছি।’ তারপর আবার ফোন করে তিনি বলেন, ‘বাড়ির কাজের ব্যাপারে ইঞ্জিনিয়ারের সঙ্গে কথা হয়েছে। কাজ নিয়ে কোনো সমস্যা হবে না। আমি শামীম ভাইয়ের সঙ্গে চলে আসব।’ এ সময় শামীম মুঠোফোনে বলেন, আপনার মেয়ে যেভাবে বলে, সেভাবে কাজ করেন তাহলে ভালো হবে। পরে রাত পৌনে ২টার দিকে শামীম ফোন করে জানান, ‘আশা আর নেই। টেকনিক্যাল মোড়ে একটি অজ্ঞাত ট্রাকের নিচে চাপা পড়ে মৃত্যুবরণ করেছে।’

মামলার এজাহারে আরও উল্লেখ করা হয়, শামীম বেপরোয়া গতিতে মোটরসাইকেল চালিয়ে দুই ট্রাকের মাঝখান দিয়ে দ্রুতগতিতে যাওয়ার সময় সামনের ট্রাকের সঙ্গে ধাক্কা লাগে। এতে আশা মোটরসাইকেলের পেছন থেকে ছিটকে পড়ে যান। এরপর পেছন থেকে দ্রুতগতিতে আসা একটি অজ্ঞাত ট্রাক তাকে চাপা দিলে মাথায় জখম হয়ে ঘটনাস্থলেই আশা মারা যান।

সম্প্রতি আশা অভিনয় করেছেন রোমান রুনির ‘দ্য রিভেঞ্জ’ ও ‘এক ফালি রোদ’, জয় সরকারের ‘ওল্ড ইজ গোল্ড’, কামরুজ্জামান পুতুলের টেলিছবি ‘স্বপ্নে বিভোর বাবা’ এবং আরও কিছু নাটকে।

টিএইচ/ওএফ