স্ত্রী হত্যা: আপিলেও মানসিক রোগী নজরুলকে খালাস
কিশোরগঞ্জের নজরুল ইসলামকে মানসিক রোগী বিবেচনায় স্ত্রী হত্যা মামলায় ১৭ বছর আগে হাইকোর্টের দেওয়া খালাসের রায় বহাল রেখেছেন আপিল বিভাগ।
বুধবার (২৩ জুন) রাষ্ট্রপক্ষের আপিল আবেদন খারিজ করে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বে আপিল বিভাগ এ আদেশ দেন।
বিজ্ঞাপন
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে আইনজীবী ছিলেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল এস এম মুনীর। তবে আসামিপক্ষে কোনো আইনজীবী ছিল না।
১৯৯৮ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি স্ত্রী সালমাকে কুড়াল দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে নজরুল ইসলাম। এরপর তাকে গ্রেফতার করা হয় বলে দাবি রাষ্ট্রপক্ষের। এরপর ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে ১৬৪ ধারায় দেওয়া জবানবন্দিতে নজরুল ইসলাম জানান, তার স্ত্রী সালমা আগেই ভাত খেতে বসায় রাগে কুড়াল দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করেছে। এ মামলায় নিম্ন আদালতে বিচারকালে রাষ্ট্রপক্ষের সাক্ষীরা আদালতে তাদের দেওয়া সাক্ষ্যে জানান যে নজরুল ইসলাম আগে থেকেই মানসিক রোগী ছিলেন। গ্রীষ্মকালেও ঘরের চালায় আগুন লাগিয়ে আগুন পোহাতো। এমনকি মাঝে মধ্যে রাস্তায় অন্য মানুষদেরও দৌড়ানি দিতো। এমনকি গ্রেফতারের পর তাকে এজন্য ময়মনসিংহ হাসপাতালে ভর্তি রেখে চিকিৎসা দেওয়া হয়। তবে বিচার শেষে কিশোরগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত ২০০১ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি নজরুল ইসলামকে মৃত্যুদণ্ড দিয়ে রায় দেন। এ রায় অনুমোদনের জন্য হাইকোর্টে ডেথ রেফারেন্স পাঠানো হয়। হাইকোর্ট শুনানি শেষে ২০০৪ সালের ২০ জানুয়ারি এক রায়ে তাকে খালাস দেন। মানসিক রোগী, এই বিবেচনায় তাকে খালাস দেওয়া হয়। এরপর কারাগার থেকে মুক্তি পান নজরুল ইসলাম। তবে এই রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ ২০০৮ সালে আপিল বিভাগে আপিল আবেদন দাখিল করে। বুধবারএ আবেদনের ওপর শুনানি শেষে দেশের সর্বোচ্চ আদালত মানসিক রোগী বিবেচনায় হাইকোর্টের রায় বহাল রাখেন।
বিজ্ঞাপন
এমএইচডি/এসএম