চব্বিশের গণআন্দোলন সমাজে একটি নতুন ‘নৈতিক জাগরণ দিয়েছে’ বলে মন্তব্য করেছেন ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান।

তিনি বলেছেন, জনগণের ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ দেখিয়ে দিয়েছে যে অন্যায় ও দমন-পীড়নের কাঠামো স্থায়ী নয়।

সোমবার বিকেলে বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটি আয়োজিত ব্যারিস্টার সৈয়দ ইশতিয়াক আহমেদ স্মারক বক্তৃতা অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

আন্দোলন পরবর্তী দেশকে নতুন পথ দেখাতে চারটি অগ্রাধিকারের কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, রাজনৈতিক সদিচ্ছা ও আত্মশুদ্ধি, দুর্নীতিবাজ ও মানবাধিকার লঙ্ঘনকারীদের বিরুদ্ধে নিরপেক্ষ আইনগত ব্যবস্থা, স্বাধীন ও জবাবদিহিমূলক প্রতিষ্ঠান গঠন এবং গণমাধ্যম-নাগরিক সমাজ ও সাধারণ মানুষের সক্রিয় অংশগ্রহণ প্রয়োজন। রাষ্ট্র ও সমাজ যখন একই লক্ষ্য নিয়ে কাজ করবে, তখনই দুর্নীতি ও অন্যায়ের এই ‘দুষ্টচক্র’ ভাঙা সম্ভব হবে।

দেশে দুর্নীতি, মানবাধিকার লঙ্ঘন ও বিচারহীনতার দীর্ঘমেয়াদি ‘দুষ্টচক্র’ বহু বছর ধরে রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোকে দুর্বল করে দিয়েছে বলে মন্তব্য করেন টিআইবির নির্বাহী পরিচালক।

তিনি বলেন, এই দুষ্টচক্র ভাঙতে রাষ্ট্র ও সমাজের সম্মিলিত উদ্যোগ জরুরি। দুর্নীতি কেবল অর্থনৈতিক অনিয়ম ছিল না, বরং এটি ন্যায়বিচার ও মৌলিক মানবাধিকারের ওপর সরাসরি আঘাত হিসেবে কাজ করেছে।

ব্যারিস্টার সৈয়দ ইশতিয়াক আহমেদ মেমোরিয়াল ফাউন্ডেশন ম্যানেজমেন্ট কমিটির সভাপতি অধ্যাপক নাজমা খান অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন। সঞ্চালনা করেন এশিয়াটিক সোসাইটির সম্পাদক অধ্যাপক মো. আবদুর রহিম।

এ সময় সৈয়দ ইশতিয়াক আহমেদের পুত্র, প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

এমএইচডি/এমজে