বিচারের জন্য প্রস্তুত আলিফ হত্যা মামলা, ভিন্ন আদালতে স্থানান্তর
বিচারের জন্য প্রস্তুত হয়েছে চট্টগ্রামের আলোচিত অ্যাডভোকেট সাইফুল ইসলাম আলিফ হত্যা মামলা। মঙ্গলবার (২৩ ডিসেম্বর) মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আবু বক্কর সিদ্দিক মামলাটি মহানগর দায়রা জজ আদালতে স্থানান্তরের আদেশ দেন। এরপর মহানগর দায়রা জজের বিচারকের নির্দেশনায় কোনো বিচারিক আদালতে হত্যা মামলাটির পরবর্তী প্রক্রিয়া চলবে।
চট্টগ্রাম মহানগর আদালতের সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর রায়হানুল ওয়াজেদ চৌধুরী ঢাকা পোস্টকে বলেন, আইনজীবী আলিফের বাবা ও মামলার বাদী জামাল উদ্দিনের উপস্থিতি আজ শুনানি হয়েছে। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা গত ১ জুন চার্জশিট দাখিল করেন এবং ১৫ আগস্ট শুনানি শেষে আদালত এটি গ্রহণ করেন।
বিজ্ঞাপন
তিনি আরও বলেন, চার্জশিটভুক্ত মোট ৩৯ জন আসামির মধ্যে ১৭ জন বর্তমানে পলাতক। পলাতক আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা, ক্রোকি ও হুলিয়া জারি করা হয়েছে এবং পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে। নিম্ন আদালতের সh আইনানুগ কার্যক্রম সম্পন্ন হওয়ায় মামলাটি বর্তমানে বিচার উপযোগী অবস্থায় রয়েছে।
গত বছরের ২৬ নভেম্বর ঢাকা থেকে চট্টগ্রামে যাওয়ার সময় শাহজালাল বিমানবন্দর থেকে বাংলাদেশ পুলিশের বিশেষায়িত গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) সদস্যরা চিম্ময় কৃষ্ণ দাসকে গ্রেপ্তার করে। পরদিন কোতোয়ালি থানায় দায়ের হওয়া রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে হাজির করা হয় তাকে। আদালত জামিন না মঞ্জুর করে চিন্ময় কৃষ্ণকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। এ নিয়ে বিক্ষোভ করেন ইসকন অনুসারীরা। এসময় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ান বিক্ষোভকারীরা। ওইদিন দুপুরের পর বিক্ষোভকারীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে আদালত এলাকায় মসজিদ-দোকানসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে হামলা চালান।
বিজ্ঞাপন
একপর্যায়ে ওইদিন বিকেলে আদালতের প্রধান ফটকের বিপরীতে রঙ্গম কনভেনশন হলের গলিতে একদল ইসকন অনুসারীর হাতে খুন হন অ্যাডভোকেট সাইফুল ইসলাম আলিফ। এ ঘটনায় গত বছরের ২৯ নভেম্বর দিবাগত রাতে নগরের কোতোয়ালি থানায় ভুক্তভোগী আইনজীবী সাইফুলের বাবা জামাল উদ্দিন বাদী হয়ে হত্যা মামলা করেন। এতে এজাহারে ৩১ জনের নাম উল্লেখ করা হয়। পাশাপাশি একই ঘটনায় পুলিশসহ ভুক্তভোগীরা বাদী হয়ে আরও চারটি মামলা করেন কোতোয়ালি থানায়।
এমআর/এসএসএইচ