ধর্ষণ ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগে সাভার থানায় চিত্রনায়িকা পরীমণির দায়ের করা মামলায় ব্যবসায়ী নাসির উদ্দিন মাহমুদ ও তুহিন সিদ্দিকী অমির জামিন মঞ্জুর করেছেন আদালত। কিন্তু নাসির ও অমি অন্য মামলায় গ্রেফতার থাকায় তাদের মুক্তি মিলছে না।

মঙ্গলবার দুপুরে (২৯ জুন) ঢাকার জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শাহজাদী তাহমিদা শুনানি শেষে পাঁচ হাজার টাকা মুচলেকায় তাদের জামিন মঞ্জুর করে আদেশ দেন। তবে নাসির ও অমি দুজনেই বিমানবন্দর থানায় মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে দায়ের করা মামলায় গ্রেফতার আছেন এবং অমি মানব পাচার ও পাসপোর্ট জালিয়াতির আরেক মামলায় গ্রেফতার আছেন। ফলে পরীমণির মামলায় জামিন পেলেও তাদের মুক্তি দেওয়া হচ্ছে না।

দুপুরে পরীমণির মামলায় পাঁচ দিনের রিমান্ড শেষে ঢাকার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হয় নাসির ও অমিকে। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক কামাল হোসেন তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত আসামিদের কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন। অপরদিকে জামিন চেয়ে আবেদন করেন আসামিপক্ষের আইনজীবী। জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শাহজাদী তাহমিদা শুনানি শেষে পাঁচ হাজার টাকা মুচলেকায় তাদের জামিন মঞ্জুর করে আদেশ দেন।

আদালতের সাভার থানার সাধারণ নিবন্ধন (জিআর) শাখা থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

গত ২৩ জুন ঢাকার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রাজিব হাসান পরীমণির মামলায় আসামি নাসির ও অমির পাঁচ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন। সেই ৫ দিনের রিমান্ড গতকাল শেষ হয়েছে।

এর আগে গত ১৩ জুন রাতে ফেসবুক পোস্টে পরীমণি অভিযোগ করেন, ৯ জুন উত্তরার বোট ক্লাবে তাকে ধর্ষণ ও হত্যার চেষ্টা চালান ব্যবসায়ী নাসির ইউ মাহমুদ ও তার সহযোগীরা। এ ঘটনায় তিনি সাভার থানায় ৬ জনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন।

মামলার পর ১৪ জুন রাতে উত্তরায় তুহিন সিদ্দিকী অমির বাসায় অভিযান চালায় ডিবি পুলিশ। অভিযানে নাসির উদ্দিন মাহমুদ ও অমিসহ পাঁচজনকে গ্রেফতার করা হয়। সে সময় অমির বাসায় তল্লাশি চালিয়ে এক হাজার পিস ইয়াবা, বিদেশি মদ ও বিয়ার জব্দ করা হয়।

এরপর ১৪ জুন রাত ১২টা ৫ মিনিটে ডিবির গুলশান জোনাল টিমের উপ-পরিদর্শক (এসআই) মানিক কুমার সিকদার বাদী হয়ে রাজধানীর বিমানবন্দর থানায় নাসির, অমিসহ পাঁচ জনের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে আরেকটি মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় গত ১৫ জুন ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট নিভানা খায়ের জেসি নাসির ও অমির সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। সেই ৭ দিনের রিমান্ড শেষে পরীমণির মামলায় তাদের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছিল।

টিএইচ/এমএইচএস/জেএস