রাজধানীর গুলশান থানার মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে করা মামলায় হেলেনা জাহাঙ্গীরের পাঁচ দিনের রিমান্ডের আবেদন করেছে পুলিশ। ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গুলশান থানার পরিদর্শক (অপারেশন) শেখ শাহানুর রহমান এ আবেদন করেন। 

রোববার (০১ আগস্ট) আদালতের সংশ্লিষ্ট থানার সাধারণ নিবন্ধন শাখা থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

আরও পড়ুন: রাজনৈতিক দোকান

সূত্র জানায়, শনিবার (৩১ জুলাই) মামলার তদন্ত কর্মকর্তা তার পাঁচ দিনের রিমান্ডের আবেদন করেন। যেহেতু আসামি হেলেনা জাহাঙ্গীর গুলশান থানার ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় তিন দিনের রিমান্ডে রয়েছেন। সেহেতু রিমান্ড শেষে তাকে আদালতে হাজির করা হলে মাদক মামলায় গ্রেফতার দেখানোর আবেদনসহ পরবর্তী রিমান্ড শুনানি অনুষ্ঠিত হবে।

এর আগে শুক্রবার (৩০ জুলাই) হেলেনা জাহাঙ্গীরকে গুলশান থানার ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে করা মামলায় তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।

বৃহস্পতিবার (২৯ জুলাই) দিবাগত রাত ১২টার পর গুলশান-২ এর ৩৬ নম্বর রোডে অবস্থিত হেলেনা জাহাঙ্গীরের বাসায় অভিযান চালিয়ে গ্রেফতার করে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)।

অভিযান শেষে র‍্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পলাশ কুমার বসু বলেন, নির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে হেলেনা জাহাঙ্গীরের বাসায় আমরা অভিযান চালিয়েছি। তার বাসা থেকে আমরা বিদেশি মদ, অবৈধ ওয়াকিটকি সেট, ক্যাসিনো সরঞ্জাম, বিদেশি মুদ্রা, চাকু ও হরিণের চামড়া জব্দ করেছি।

শুক্রবার সন্ধ্যায় তার বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে একটি মামলা হয়েছে। এছাড়া বিশেষ ক্ষমতা আইন, বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইন, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন ও টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ আইনসহ চারটি ধারায় আরেকটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।

সম্প্রতি ‌‘বাংলাদেশ আওয়ামী চাকরিজীবী লীগ’ নামে একটি সংগঠনের পোস্টার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। পোস্টারে সংগঠনের কেন্দ্রীয় সভাপতি হেলেনা জাহাঙ্গীর আর সাধারণ সম্পাদক মাহবুব মনিরের নাম উল্লেখ করা হয়। 

টিএইচ/জেডএস