সন্তানকে পেতে প্রাক্তন অ্যাটর্নি জেনারেলের সাবেক পুত্রবধূর রিট
ফাইল ছবি
প্রাক্তন অ্যাটর্নি জেনারেল ও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা এ এফ হাসান আরিফের সাবেক পুত্রবধূ শিশু সন্তানকে নিজের হেফাজতে নেওয়ার নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট করেছেন।
মঙ্গলবার (১০ আগস্ট) বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চে এ রিট আবেদনের শুনানি হয়েছে। আদালত শুনানি আগামী ১৬ আগস্ট পর্যন্ত মুলতবি করেছেন।
বিজ্ঞাপন
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট ফাওজিয়া করিম ফিরোজ। হাসান আরিফের ছেলের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট সাঈদ আহমেদ রাজা।
অ্যাডভোকেট সাঈদ আহমেদ রাজা বলেন, আদালত বিষয়টি পারিবারিকভাবে মীমাংসা করার জন্য উভয়পক্ষকে ১৬ আগস্ট পর্যন্ত সময় দিয়েছেন। আশা করি, এর আগেই সমাধান হবে।
বিজ্ঞাপন
জানা যায়, সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল ও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা এ এফ হাসান আরিফের ছেলের দুই শিশু সন্তান রয়েছে। ছোট সন্তান আগে থেকে সাবেক পুত্রবধূর হেফাজতে আছে। বড় শিশু সন্তানটি এখনও এ এফ হাসান আরিফের ছেলের কাছে আছে।
এ অবস্থায় ৮ আগস্ট এ এফ হাসান আরিফের সাবেক পুত্রবধূ মাধবী আক্তার নীলা বড় সন্তানকে নিজের হেফাজতে নেওয়ার নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট করেন।
গত ১৬ জুলাই সংবাদ সম্মেলন করে মাধবী আক্তার নীলার কাছ থেকে কেড়ে নিয়ে ২ বছর বয়সী নাতনিকে কানাডা পাঠিয়ে দেওয়ার চেষ্টার অভিযোগ তোলা হয় সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল ও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা এ এফ হাসান আরিফের বিরুদ্ধে। মিরপুরের আরামবাগে নিজ বাসভবনে সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন সাবেক এ অ্যাটর্নি জেনারেলের পুত্রবধূ মাধবী আক্তার নীলা।
সংবাদ সম্মেলনে মাধবী আক্তার নীলা বলেন, এ এফ হাসান আরিফের ছেলে মোয়াজ আরিফের সঙ্গে ২০১৮ সালের ৩১ মার্চ পারিবারিকভাবে আমার বিয়ে হয়। বিয়ের পর স্বামী-সন্তান নিয়ে আমি সুখেই ছিলাম। বর্তমানে আমার বড় মেয়ের বয়স দুই বছর। সুখের সংসারে সমস্যা শুরু হয় আমার বড় সন্তানকে নিয়ে। আমার শ্বশুর ও শাশুড়ি আমার বড় মেয়েকে কানাডায় তাদের মেয়ের কাছে পাঠিয়ে দিতে চেয়েছিল। আমার ননদের কোনো সন্তান না থাকায় তারা আমার সন্তানকে কানাডা পাঠাতে চেয়েছিল। কিন্তু আমি রাজি হইনি। এরপর থেকেই আমার ওপর অত্যাচার ও নির্যাতন শুরু হয়। পরে আমাদের ডিভোর্স হয়।
এমএইচডি/এসএসএইচ