চিত্রনায়িকা পরীমণির বিরুদ্ধে রাজধানীর বনানী থানায় দায়ের করা মাদক মামলার জামিন শুনানির জন্য ১৩ সেপ্টেম্বর দিন ধার্য করে নিম্ন আদালত যে আদেশ দিয়েছেন তা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে আবেদন করেছেন পরীমণি। আবেদনে ১৩ সেপ্টেম্বর জামিন শুনানির দিন ধার্য করার আদালতের সিদ্ধান্তকে অযৌক্তিক দাবি করা হয়েছে। একইসঙ্গে পরীমণির জামিনের আর্জিও জানানো হয় আবেদনে।

বুধবার (২৫ আগস্ট) বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি কে এম জাহিদ সারওয়ার কাজলের হাইকোর্ট বেঞ্চে এ আবেদন দাখিল করা হয়েছে। আবেদনটি করেছেন পরীমণির আইনজীবী অ্যাডভোকেট মুজিবুর রহমান।

গত ২২ আগস্ট ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েশের আদালতে পরীমণির জামিন আবেদন করেন আইনজীবী মজিবুর রহমান। জামিন বিষয়ে শুনানির জন্য আগামী ১৩ সেপ্টেম্বর দিন ধার্য করেছেন আদালত।

গত ২১ আগস্ট (শনিবার) রাজধানীর বনানী থানায় দায়ের করা মাদক মামলায় চিত্রনায়িকা পরীমণিকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত। ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আশেক ইমাম শুনানি শেষে এ আদেশ দেন।

তৃতীয় দফায় এক দিনের রিমান্ড শেষে শনিবার পরীমণিকে আদালতে হাজির করে মামলার তদন্ত সংস্থা সিআইডি। এরপর তাকে আদালতের হাজতখানায় রাখা হয়। তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক কাজী গোলাম মোস্তফা তাকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন।

গত ১৯ আগস্ট পরীমণির একদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আতিকুল ইসলাম। এর আগে ১৩ আগস্ট পরীমণি ও তার সহযোগী আশরাফুল ইসলাম দীপুকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত।

তার আগে ১০ আগস্ট পরীমণি ও আশরাফুল ইসলাম দীপুর দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট দেবব্রত বিশ্বাস। ৫ আগস্ট পরীমণি ও দীপুর চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছিলেন ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মামুনুর রশিদ।

৪ আগস্ট রাতে প্রায় চার ঘণ্টার অভিযান শেষে বনানীর বাসা থেকে পরীমণি ও তার সহযোগী দীপুকে আটক করে র‍্যাব। এ সময় পরীমণির বাসা থেকে বিভিন্ন মাদক জব্দ করা হয়। ৫ আগস্ট র‍্যাব-১ বাদী হয়ে মাদকদ্রব্য আইনে পরীমণি ও তার সহযোগীর বিরুদ্ধে বনানী থানায় মামলা করে।

এমএইচডি/জেডএস