হুমায়ুন আজাদ হত্যা মামলা: সব আসামির মৃত্যুদণ্ড চায় রাষ্ট্রপক্ষ
লেখক ড. হুমায়ুন আজাদ - সংগৃহীত ছবি
লেখক, ভাষাবিজ্ঞানী ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. হুমায়ুন আজাদ হত্যা মামলায় সব আসামির সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড দাবি করেছেন রাষ্ট্রপক্ষ।
সোমবার (১৮ জানুয়ারি) ঢাকার চতুর্থ অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ মাকছুদা পারভীনের আদালতে যুক্তি উপস্থাপন শেষে রাষ্ট্রপক্ষ এ দাবি করে।
বিজ্ঞাপন
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মাহফুজুর রহমান চৌধুরী বলেন, মামলায় সাক্ষ্যপ্রমাণে আমরা প্রমাণ করতে পেরেছি। তাই আমরা আদালতের কাছে সকল আসামিদের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড দাবি করেছি।
তিনি আরও বলেন, রাষ্ট্রপক্ষের যুক্তিতর্ক শুনানি শেষে আসামি পক্ষের যুক্তি উপস্থাপন শুনানি শুরু হয়। এরপর তাদের আংশিক সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য ২৪ জানুয়ারি দিন ধার্য করেন আদালত।
বিজ্ঞাপন
মামলার অভিযোগ
২০০৪ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি একুশে বইমেলা থেকে বাসায় ফেরার পথে বাংলা একাডেমির উল্টো দিকের ফুটপাতে সন্ত্রাসী হামলায় মারাত্মক আহত হন লেখক হুমায়ুন আজাদ। এ হামলায় পর তিনি ২২ দিন সিএমএইচে এবং ৪৮ দিন ব্যাংককে চিকিৎসা নেন। ওই বছরের ১২ আগস্ট তিনি জার্মানির মিউনিখে মারা যান। ওই ঘটনায় পরদিন তার ছোট ভাই মঞ্জুর কবির বাদী হয়ে রমনা থানায় একটি হত্যাচেষ্টা মামলা দায়ের করেন। পরে তা হত্যা মামলায় রূপান্তর হয়। এছাড়া একই ঘটনায় বিস্ফোরক দ্রব্য আইনেও অপর একটি মামলা হয়।
এরপর ২০০৭ সালের ১১ নভেম্বর মামলাটির তদন্ত কর্মকর্তা পাঁচ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে একটি চার্জশিট দাখিল করেন। ওই চার্জশিটে আবুল আব্বাস ভূইয়া ও গোলাম মোস্তফা নামের দুই আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাদের অব্যহতি দেওয়া হয়।
আসামি যারা
চার্জশিটভুক্ত আসামিরা হলেন- জেএমবির সুরা সদস্য মিজানুর রহমান ওরফে মিনহাজ ওরফে শাউন, আনোয়ার আলম, হাফিজ মাহমুদ, সালেহীন ওরফে সালাহউদ্দিন ও নূর মোহাম্মদ ওরফে সাবু। আসামিদের মধ্যে সালেহীন ওরফে সালাহউদ্দিন ও নূর মোহাম্মদ ওরফে সাবু (পলাতক) এবং হাফিজ মাহমুদ মারা গেছেন।
২০০৯ সালের ৬ অক্টোবর মামলার বাদী মো. মঞ্জুর কবির মামলাটির অধিকতর তদন্তের আবেদন করেন। পরে বিচারক ২০ অক্টোবর আবেদন মন্জুর করে মামলাটি তদন্তের জন্য সিআইডিকে নির্দেশ দেন। এরপর ২০১২ সালের ৩০ এপ্রিল ওই মামলার তদন্ত শেষে সিআইডির পরিদর্শক লুৎফর রহমান পাঁচ আসামিকে অভিযুক্ত করে আদালতে সম্পূরক চার্জশিট (অভিযোগপত্র) দাখিল করেন। একই বছরের ১০ সেপ্টেম্বর ওই পাঁচ আসামির বিরুদ্ধে মামলার অভিযোগ গঠন করেন আদালত।
টিএইচ/এইচকে