মৃত কিশোরীর ফিরে আসা: বিচার বিভাগীয় প্রতিবেদনের শুনানি ৩ মার্চ
নারায়ণগঞ্জে ‘কথিত ধর্ষণ ও হত্যার শিকার’ স্কুলছাত্রীর জীবিত ফিরে আসার ঘটনায় বিচার বিভাগীয় তদন্ত প্রতিবেদনের ওপর শুনানির জন্য আগামী ৩ মার্চ (বুধবার) দিন ধার্য করেছেন হাইকোর্ট।
বুধবার (২০ জানুয়ারি) বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ দিন ধার্য করেন।
বিজ্ঞাপন
আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট শিশির মনির। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সরোয়ার হোসেন বাপ্পী।
গত ৫ জানুয়ারি নারায়ণগঞ্জের চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কথিত ধর্ষণ ও হত্যার শিকার স্কুলছাত্রীর জীবিত ফেরত আসার ঘটনায় বিচার বিভাগীয় তদন্ত প্রতিবেদন হাইকোর্টে দাখিল করেন।
বিজ্ঞাপন
প্রতিবেদেন বলা হয়, আসামিদের ভয় দেখিয়ে ও মারধর করে কিশোরীকে ধর্ষণ ও হত্যা করার স্বীকারোক্তি নেয় পুলিশ।
গত বছরের ২৪ সেপ্টেম্বর নারায়ণগঞ্জে কথিত ধর্ষণ ও হত্যার শিকার স্কুলছাত্রীর জীবিত ফেরত আসার ঘটনায় বিচার বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দেন হাইকোর্ট।
ওই বছরের ২৫ আগস্ট নারায়ণগঞ্জে ধর্ষণ ও হত্যার শিকার স্কুলছাত্রীর জীবিত ফেরত আসার ঘটনায় নথি তলবের নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিভিশন আবেদন দায়ের করা হয়। ৫ আইনজীবীর পক্ষে অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শিশির মনির এ আবেদন দায়ের করেন।
পাঁচ আইনজীবী হলেন- মো. আসাদ উদ্দিন, মো. জোবায়েদুর রহমান, মো. আশরাফুল ইসলাম, মো. আল রেজা আমির এবং মো. মিসবাহ উদ্দিন।
গত বছরের ২৪ আগস্ট ‘ধর্ষণের পর নদীতে লাশ ফেলে দেয়া স্কুল ছাত্রীর ৪৯ দিন পর জীবিত প্রত্যাবর্তন’ শীর্ষক শিরোনামে একটি জাতীয় দৈনিকে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।
ওই প্রতিবেদন আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম এবং বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চের নজরে আনেন।
ঘটনার বিবরণী উল্লেখ করে শিশির মনির জানান, গত বছরের ৪ জুলাই ৫ম শ্রেণির ছাত্রী দিসা নিখোঁজ হয়। ৬ আগস্ট নিখোঁজ স্কুল ছাত্রী দিসার বাবা জাহাঙ্গীর হোসেন নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানায় অপহরণ মামলা দায়ের করেন। মামলার পর পুলিশ আব্দুল্লাহ, রকিব এবং খলিল নামে ৩ জনকে গ্রেপ্তার করেন। তারা আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। স্বীকারোক্তিতে তারা বলেন যে, তারা ৫ম শ্রেণির ছাত্রী দিসাকে গণধর্ষণের পর হত্যা করে লাশ শীতলক্ষ্যা নদীতে ভাসিয়ে দেয়। জবানবন্দি নেওয়ার পর আসামিদেরকে জেলে পাঠানো হয়। কিন্তু গত বছরের ২৩ আগস্ট দিসাকে খুঁজে পাওয়া গেছে। সে বর্তমানে নারায়ণগঞ্জ সদর থানা পুলিশের হেফাজতে হয়েছে। এখন প্রশ্ন দেখা দিয়েছে আসামীরা কীভাবে ধর্ষণ ও হত্যা সম্পর্কিত স্বীকারোক্তি দিয়েছে। যেখানে দিসা অক্ষত অবস্থায় ফেরত এসেছে।
এমএইচডি/জেডএস