ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল জান্নাতুল ফেরদৌসী রুপা - ফাইল ছবি

সুপ্রিম কোর্টের ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল জান্নাতুল ফেরদৌসী রুপা অবশেষে জিজ্ঞাসাবাদে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মুখোমুখি হয়েছেন।

তার বিরুদ্ধে ক্ষমতা অপব্যবহারের মাধ্যমে ঘুষ নিয়ে জি কে শামীমসহ বিভিন্ন আসামির সঙ্গে আতাত করে জামিন করিয়ে বিপুল অর্থ লোপাটসহ অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ রয়েছে।

বুধবার (২০ জানুয়ারি) দুপুর ২টা থেকে দুদকের প্রধান কার্যালয়ে অনুসন্ধান কর্মকর্তা উপ-পরিচালক মোহাম্মদ ইব্রাহিম রুপার জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেন। বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।

জিজ্ঞসাবাদ শেষে সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে রুপা বলেন, আমার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন ও ষড়মন্ত্রমূলক। কাউকে জামিন দেওয়া একমাত্র আদালতের এখতিয়ার।

এর আগে গত ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে তলবি নোটিশে অভিযোগ সংশ্লিষ্ট নথিপত্রসহ ২৭ জানুয়ারির মধ্যে হাজির হওয়ার জন্য বলা হয়েছিল। 

ওই নোটিশে বলা হয়, সুপ্রিম কোর্টের ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল জান্নাতুল ফেরদৌসী রুপার বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়ম, দুর্নীতি, ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগ রয়েছে। জাল-জালিয়াতি ও ঘুষ নিয়ে জি কে শামীমসহ বিভিন্ন আসামির সঙ্গে আতাত করে তিনি জামিন করিয়েছেন। এভাবে বিপুল অর্থ হাতিয়ে নেওয়াসহ জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। তাই অভিযোগের বিষয়ে বক্তব্য প্রদানের জন্য জাতীয় পরিচয়পত্র ও পাসপাের্টের কপি এবং চাহিদাকৃত নথি-পত্রসসহ তাকে হাজির হওয়ার জন্য অনুরোধ করা হয়।  

অভিযোগ অনুসন্ধানে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য প্রথম দফায় গত ২৯ অক্টোবর চিঠি দেয় দুদক। যেখানে গত ৪ নভেম্বর হাজির হতে বলা হয়েছিল। কিন্তু পরবর্তীতে করোনায় আক্রান্ত হয়ে রাজধানীর ল্যাবএইড হাসপাতালে ভর্তি হওয়ায় হাজির হননি রুপা। পরবর্তীতে হাইকোর্টে দুদকের তলবি নোটিশের বৈধতা প্রশ্নে রিট করেন। যদিও ওই রিট খারিজ করে দেন আদালত।

গত ১৭ ডিসেম্বর যাবতীয় ব্যাংক হিসাব জানতে দেশের সরকারি-বেসরকারি ৫৬টি ব্যাংকে চিঠি দিয়েছিল দুদক। চিঠিতে রুপার চলতি, সঞ্চয়ী, ডেবিট ও ক্রেডিট কার্ডের তথ্য চাওয়া হয়েছে। যার বেশ কিছু নথিপত্র দুদকে এসেছে বলে জানা গেছে।

আরএম/এইচকে