হাইকোর্ট ভবন

আদালতের আদেশ অনুযায়ী বিউটি বেগমকে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নিয়োগ দিয়ে নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা করায় তৎকালীন প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (বর্তমান প্রতিরক্ষা সচিব) ড. আবু হেনা মো. মোস্তফা কামালসহ পাঁচ জনকে আদালত অবমাননার অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দিয়েছেন আপিল বিভাগ। 

অন্য চারজন হলেন, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের ডেপুটি ডিরেক্টর রমজান আলী, গাইবান্ধা জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আমিনুল ইসলাম, গাইবান্ধার সদর উপজেলার প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আব্দুস সালাম ও গাইবান্ধার সদর উপজেলার সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মাসুমুল ইসলাম।

আদালত অবমাননার আবেদন নিষ্পত্তি করে সোমবার (১৪ ডিসেম্বর) আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি মোহাম্মদ ইমান আলীর নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগ এ আদেশ দেন।

আদালতে বিউটি বেগমের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার এ বি এম আলতাফ হোসেন। অপরপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন ও আইনজীবী শফিক মাহমুদ।

পরে ব্যারিস্টার এ বি এম আলতাফ হোসেন ঢাকা পোস্টকে বলেন, ’গত ১০ ডিসেম্বর গাইবান্ধা সদর উপজেলার সরকারতাড়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক হিসেবে বিউটি বেগম ‍নিয়োগ দিয়েছেন প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর। বিষয়টি শিক্ষা অধিপ্তরের কর্মকর্তারা আজ আপিল বিভাগকে জানিয়েছেন। এছাড়া এতদিন আদালতের আদেশ পালন না করায় তারা নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা করেছেন। এ কারণে আপিল বিভাগ আদালত অবমাননার আবেদন নিস্পত্তি করে দিয়েছেন।’

এর আগে গত ৬ ডিসেম্বর  প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক নিয়োগ সংক্রান্ত আদালতের আদেশ অমান্য করায় প্রতিরক্ষা (তৎকালীন প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপচিালক) সচিব ড. আবু হেনা মো. মোস্তফা কামালসহ পাঁচ জনকে তলব করেন আপিল বিভাগ।  

ওইদিন ব্যারিস্টার এ বি এম আলতাফ হোসেন বলেছিলেন, ২০০৮ সালে গাইবান্ধা সদর উপজেলার বিউটি বেগম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নিয়োগ পরীক্ষায় প্রথম হন। কিন্তু তাকে নিয়োগ না দিয়ে পরীক্ষায় দ্বিতীয় স্থান অধিকারী নাজমা সুলতানাকে নিয়োগ দেয় প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর। বিউটি বেগম নিয়োগ না পেয়ে গাইবান্ধার সহকারী জজ আদালতে মামলা করেন। মামলার শুনানি নিয়ে আদালত পরীক্ষায় প্রথম স্থান অর্জনকারী বিউটি বেগমকে নিয়োগ দিতে নির্দেশ দেন। হাইকোর্টও এ আদেশ বহাল রাখেন। হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে আবেদন করেন নাজমা সুলতানা।

২০১৭ সালের ৩ আগস্ট আপিল বিভাগ নাজমা সুলতানার আবেদন খারিজ করে ১৫ দিনের মধ্যে বিউটি বেগমকে নিয়োগ দিতে নির্দেশ দেন। আপিল বিভাগের আদেশের পরও বিউটি বেগমকে নিয়োগ না দেওয়ায় আদালত অবমাননার মামলা করা হয়। সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার রুল জারি করেন। রুলেরও জবাব দেয়নি বিবাদীরা।

আইনজীবী এ বি এম আলতাফ হোসেন আরও বলেন, এ কারণে  আপিল বিভাগ প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক) সচিব ড. আবু হেনা মো. মোস্তফা কামালসহ পাঁচ জনকে তলব করেন। 

এমএইচডি/এসএম