রাজধানীর দারুস সালাম থানা এলাকায় নার্সিং কলেজের কর্মচারী মরিয়ম খাতুন হত্যা মামলায় দুই জনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত দুই আসামি হলেন— অমিত হাসান ও ইউসুফ আলী ওরফে ঠান্ডা। ঢাকার ষষ্ঠ অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ ফাতিমা ইমরোজ কণিকার আদালত এ রায় ঘোষণা করেন।

বুধবার (২২ সেপ্টেম্বর) সংশ্লিষ্ট আদালত সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।

সূত্র জানায়, মঙ্গলবার (২১ সেপ্টেম্বর) বিকালে আসামিদের উপস্থিতিতে বিচারক এ রায় ঘেষণা করেন। রায় ঘোষণার পর আসামিদের সাজা পরোয়ানা দিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়।

২০১৮ সালের ৬ মার্চ সকালে মরিয়ম খাতুন ও তার স্বামী আব্দুল হান্নান অফিসের উদ্দেশে বাসা থেকে বের হন। বিকেলে অফিস শেষে মরিয়ম খাতুন বাসায় ফেরেন। পরে আব্দুল হান্নান বাসায় ফিরে মরিয়ম খাতুনের গলাকাটা মরদেহ রুমে পড়ে থাকতে দেখেন।

এই ঘটনায় মরিয়মের ছোট ভাই রেজাউল করিম অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। পরে মরিয়মের ফোনের কললিস্টের মাধ্যমে অমিত হাসান ও ইউসুফকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তারা হত্যায় দায় স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দেন।

মামলাটি তদন্ত করে ২০১৮ সালের ৩১ মে দুজনকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দাখিল করেন তদন্ত কর্মকর্তা দারুস সালাম থানার এসআই মো. যোবায়ের। একই বছর ১৩ আগস্ট আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করেন। মামলাটির বিচার চলাকালে বিভিন্ন সময়ে ১৭ জন সাক্ষীর জবানবন্দি গ্রহণ করেন আদালত।

টিএইচ/এমএইচএস