অর্থ আত্মসাতের টাকা পরিশোধ করায় বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের কাওরান বাজার শাখার সাবেক এজিএম সারোয়ার হোসেন, একই শাখার সাবেক ডিজিএম জোবায়ের মঞ্জুর ও কেয়া ইয়ার্ন মিলস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আব্দুল খালেক পাঠানসহ ৮ জনকে অব্যাহতি দিয়েছেন আদালত।

ঢাকার সিনিয়র স্পেশাল জজ কে এম ইমরুল কায়েশ গত ৯ সেপ্টেম্বর অব্যাহতির এ আদেশ দেন। বৃহস্পতিবার (২২ সেপ্টেম্বর) আদালতের দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) শাখার সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা আমিনুল ইসলাম ঢাকা পোস্টকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, গত ৪ এপ্রিল মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের উপ-পরিচালক মো. সামছুল আলম আসামিদের বিরুদ্ধে একটি চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন। প্রতিবেদনে বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের আত্মসাৎ করা অর্থের সমপরিমাণ টাকা সংশ্লিষ্ট ব্যাংকে জমা দেওয়ায় তদন্ত কর্মকর্তা তাদের মামলা থেকে অব্যাহতির আবেদন করেন। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গত ৯ সেপ্টেম্বর বিচারক আসামিদের অব্যাহতি দেন।

অব্যাহতি পাওয়া বাকিরা হলেন, কেয়া ইয়ার্ন মিলস লিমিটেডের চেয়ারম্যান মিসেস খালেদা পারভীন, পরিচালক মাসুম পাঠান, পরিচালক তাসকিন কেয়া, বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের কাওরান বাজার শাখার সাবেক এসপিও আবুল হোসেন, বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের কাওরান বাজার শাখার সাবেক এসপিও গোলাম রসুল।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের উপ-পরিচালক মো. সামছুল আলম চূড়ান্ত প্রতিবেদনে উল্লেখ করেন, ১১১ কোটি ১৪ লাখ ৬৫ হাজার ৩১ টাকা বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের কাওরান বাজার করপোরেট শাখা থেকে কেয়া ইয়ার্ন মিলস লিমিটেড ঋণ গ্রহণ করেন। ওই টাকা নির্দিষ্ট সময়ে পরিশোধ না করায় অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ এনে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) গত ২০১৭ সালের ২০ আগস্ট মামলাটি দায়ের করে।

এরপর ২০১৮ সালের ২৪ জানুয়ারি থেকে ২০১৮ সালের ৮ মার্চের মধ্যে ব্যাংকের ঋণের সমপরিমাণ টাকা পরিশোধ করেন। সেজন্য অত্র মামলার থেকে সব আসামিকে অব্যাহতির আবেদন করেন।

মামলায় ব্যাংক কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ১১১ কোটি ১৪ লাখ ৬৫ হাজার ৩১ টাকা অর্থ আত্মসাতের সব আসামিদের পরস্পর যোগসাজশে অভিযোগ আনা হয়।

টিএইচ/এমএইচএস