সর্বোচ্চ আদালতের রায়ে বিসিএস পরীক্ষার ১৮ বছর পর স্বাস্থ্য ক্যাডার হলেন চট্টগ্রামের সুমনা সরকার। বৃহস্পতিবার সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি) মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ডা. সুমনা সরকারকে নিয়োগের জন্য সুপারিশ করে ফল প্রকাশ করেছে।

এতে বলা হয়, ২৩তম বিসিএস (বিশেষ) পরীক্ষা-২০০০ এর প্রার্থী ডা. সুমনা সরকারকে (রেজিস্ট্রেশন নম্বর-০০১৪৬৮) বিসিএস (স্বাস্থ্য) ক্যাডারের সহকারী সার্জন পদে নিয়োগের জন্য সাময়িকভাবে সুপারিশ করা হলো।

এর আগে, গত বছরের ১৯ নভেম্বর ১৭ বছর আগের বিসিএস (স্বাস্থ্য) প্রিলিমিনারি ও লিখিত পরীক্ষায় মুক্তিযোদ্ধা কোটায় উত্তীর্ণ সুমনা সরকারকে ভাইভা (মৌখিক) পরীক্ষার নেওয়ার নির্দেশ দেন আপিল বিভাগ। সরকারি কর্ম কমিশনকে (পিএসপি) এ নির্দেশ বাস্তবায়ন করতে বলা হয়। প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন আপিল বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

ওই দিন আদালতে সুমনা সরকারের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট মোতাহার হোসেন সাজু ও  অ্যাডভোকেট সেলিনা আক্তার চৌধুরী। পিএসসির পক্ষে ছিলেন আইনজীবী শামীম খালেদ।

আইনজীবী মোতাহার হোসেন সাজু ও সেলিনা আক্তার চৌধুরী বলেন, ২০০৩ সালে সুমনা সরকার ২৩ তম বিসিএস (স্বাস্থ্য) প্রিলিমিনারি ও রিটেন পরীক্ষায় পাস করেন। কিন্তু তার মূল সনদ দেখাতে না পারায় ভাইভা পরীক্ষায় তার কার্ড ইস্যু করা হয়নি। তার সঙ্গে ছিলেন আরও ২৯২ জন। এর মধ্যে ১২ জন হাইকোর্টে এসে রিট দায়ের করেন। ওই রিটের শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট তাদের ভাইভা পরীক্ষা নেওয়ার নির্দেশ দেন। পরে ওই ১২জন নিয়োগ পান।

এ ঘটনার পর সুমনা সরকার তার একটি প্রবেশন সনদসহ পিএসসি বরাবর একটি দরখাস্ত দেন ভাইভার জন্য। পিএসসি তাকে সুযোগ না দেওয়ায় ২০০৯ সালের তিনিও হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন। ওই রিটের দীর্ঘ শুনানি শেষে ২০১৫ সালের হাইকোর্ট তার ভাইভা পরীক্ষা নেওয়ার নির্দেশ দেন। পরে হাইকোর্টের এ রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করে পিএসসি। চেম্বার জজ আদালত হাইকোর্টের রায়টি স্থগিত করে দেন।

দীর্ঘ দিন পর আপিল বিভাগ শুনানি নিয়ে পিএসসির আবেদন খারিজ করে সুমনা সরকারের ভাইভা পরীক্ষা গ্রহণের নির্দেশ দেন। আপিল বিভাগের রায়ের আলোকে পিএসসি ভাইভা পরীক্ষা নিয়ে আজ তাকে নিয়োগের সুপারিশ করল।

ডা. সুমনা সরকার বর্তমানে চট্রগ্রামের একটি বেসরকারি হাসপাতালে চক্ষু চিকিৎসক কর্মরত আছেন।

এমএইচডি