গ্রেপ্তারের পর সিআইডি কার্যালয়ে নেওয়া হয় ঘাতক বাসচালককে/ ফাইল ছবি

বিমানবন্দর এলাকায় মোটরসাইকেল আরোহী স্বামী-স্ত্রীকে চাপা দিয়ে নিহতের ঘটনায় ঘাতক আজমেরী পরিবহনের চালক ওসিদুল ইসলামকে রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।

শুক্রবার (২২ জানুয়ারি) ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ জসীম শুনানি শেষে এ আদেশ দেন। আদালতের সংশ্লিষ্ট সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

সূত্র জানায়, এ দিন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে আসামি ওসিদুলকে একদিনের  রিমান্ড শেষে আদালতে হাজির করেন। শুনানি শেষে বিচারক কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

২০ জানুয়ারি এ বাস চালকের একদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।

সোমবার (১৮ জানুয়ারি) মধ্যরাতে অভিযান চালিয়ে গাজীপুরের মৌচাক থেকে তাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তার চালক ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন।

সিআইডির সিনিয়র অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (এএসপি মিডিয়া) জিসানুল হক জিসান ঢাকা পোস্ট-কে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

এর আগে, সোমবার (১৮ জানুয়ারি) সকাল সাড়ে ৭টার দিকে রাজধানীর বিমানবন্দর এলাকায় যাত্রীবাহী বাসের চাপায় মোটরসাইকেল আরোহী স্বামী-স্ত্রী স্বামী আকাশ ইকবাল (৩৩) ও মায়া হাজারিকা (২৫) নিহত হন। বিমানবন্দর এলাকার পদ্মা ওয়েল গেটের পাশে এ ঘটনা ঘটে। তাদের বাসা দক্ষিণখানের মোল্লারটেক এলাকায়। এ দম্পতির আরফা আনজুম নামের চার বছরের একটি কন্যা সন্তান রয়েছে।

দুর্ঘটনার বিষয়ে বিমানবন্দর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) বি এম ফরমান আলী জানান, প্রথমে যাত্রীবাহী বাস মোটরসাইকেলকে ধাক্কা দিলে স্বামী-স্ত্রী দুজনেই ছিটকে রাস্তায় পড়ে যান। পরে বাসটি তাদের চাপা দিলে ঘটনাস্থলেই মারা যান তারা।

এসআই মশিউল আলম বলেন, ‘নিহত দুজনেরই মাথায় হেলমেট ছিল। পুলিশের মামলা থেকে বাঁচতে তারা নামমাত্র হেলমেট পরেছিলেন। নিম্নমানের হেলমেটে তাদের জীবন রক্ষা হয়নি।’

ফরিদপুর সদর উপজেলার ধুলদি গ্রামের জাফর শেখের ছেলে আকাশ। একই এলাকাতে বাড়ি স্ত্রী মায়ারও। স্ত্রী মায়া ও চার বছরের একমাত্র মেয়ে আরফা আনজুমকে নিয়ে দক্ষিণখান মোল্লারটেক তেতুলতলা উদয়ন স্কুলের পাশে একটি বাসায় ভাড়া থাকতেন তারা। আকাশ উত্তরায় একটি ডেভেলপার কোম্পানিতে চাকরি করতেন। মায়া বিমানবন্দরে একটি রেস্টুরেন্টে চাকরি করতেন।

টিএইচ/এফআর