বিমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের (আইডিআরএ) চেয়ারম্যান ড. এম মোশাররফ হোসেনের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগের বিষয়ে কি ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে তা জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট। দুদক ও বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটেকে (বিএফআইইউ) তা ৩০ দিনের মধ্যে জানানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

মঙ্গলবার (৯ নভেম্বর) বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট এ আদেশ দেন।

আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার মোস্তাফিজুর রহমান খান ও ব্যারিস্টার কারিশমা জাহান।

এ বিষয়ে ব্যারিস্টার কারিশমা জাহান বলেন, ড. এম মোশাররফ হোসেনের বিরুদ্ধে ৪ কোটি টাকার দুর্নীতির অভিযোগ বিষয়ে কোন ব্যবস্থা না নেওয়ায় রিট দায়ের করেন বিনিয়োগকারী আবু সালেহ মোহাম্মদ আমিন। আদালত বিমা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে এ অভিযোগে কি ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে তা জানতে চেয়েছেন।

এর আগে ৩০ সেপ্টেম্বর আইডিআরএ চেয়ারম্যান ড. এম মোশাররফ হোসেন কোন কর্তৃত্ববলে পদে বহাল আছেন তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন হাইকোর্ট।

বিনিয়োগকারী আবু সালেহ মোহাম্মদ আমিন মেহেদীর জনস্বার্থে দায়ের করা রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে আদালত এ রুল জারি করেন।

আইনজীবী সূত্রে জানা যায়, আইডিআরএ চেয়ারম্যান এম মোশাররফ হোসেন ২০১৭ সালের ৯ মে ‘লাভস অ্যান্ড লাইভ অর্গানিকস লি.’ নামে একটি কোম্পানি যৌথ মূলধন কোম্পানি ও ফার্মসমূহের নিবন্ধকের কার্যালয়ে (আরজেএসসি) নিবন্ধন করেন। যার পরিচালক ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক তিনি নিজে এবং তার স্ত্রী জান্নাতুল মাওয়া।

এরপরে ২০১৮ সালের ২৮ জানুয়ারি ‘গুলশান ভ্যালি অ্যাগ্রো ইন্ডাস্ট্রিজ লি.’ নামে আরেকটি কোম্পানি নিবন্ধন করেন। এটারও পরিচালক ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে নিজে এবং স্ত্রী জান্নাতুল মাওয়াকে পরিচালক হিসেবে প্রতিষ্ঠা করেন।

কিন্তু আইডিআরএ আইন ২০১০ অনুযায়ী, কোনো ব্যক্তি কোনো কোম্পানির বা সংস্থার পরিচালক বা অন্যে কোনো পদে নিযুক্ত থাকলে, তিনি কর্তৃপক্ষের সদস্য হওয়ার বা থাকার যোগ্য হবেন না।

ওই আইনের ধারা ৭(৩)(খ) অনুযায়ী, কোন ব্যক্তি চেয়ারম্যান বা সদস্য হইবার বা থাকিবার যোগ্য হইবেন না, যদি তিনি বিমা মধ্যস্থতাকারী বা কর্তৃপক্ষের নিয়ন্ত্রণাধীন কোনো সংস্থার বা এইরূপ নিয়ন্ত্রণাধীন সংস্থা সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের পরিচালক, কর্মকর্তা বা কর্মচারী হন বা তিনি কোনো কোম্পানি বা সংস্থার (সরকারি বা বেসরকারি) পরিচালক বা অন্য কোনো পদে নিযুক্ত থাকেন।

দুটি কোম্পানির পরিচালক ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক থাকা অবস্থায় তথ্য গোপন করে আইডিআরএ আইন-২০২০ এর ৭(৩)(খ) ধারার লঙ্ঘন করে মোশাররফ চেয়ারম্যান পদে বহাল আছেন। এমতবস্থায় তার পদে থাকার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে গত ২৬ সেপ্টেম্বর হাইকোর্টে রিট করেন বিনিয়োগকারী আবু সালেহ মোহাম্মদ আমিন মেহেদী। রিটের শুনানি নিয়ে আদালত রুল জারি করেন।

এমএইচডি/এসএম