মৃত নারীদের ধর্ষণ করা সেই মুন্না রিমান্ডে
মৃত নারীদের ধর্ষণ করা সেই মুন্না ভগত/ ছবি: সংগৃহীত
রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের মর্গে মৃত নারীদের ধর্ষণ করার অভিযোগে গ্রেপ্তার মুন্না ভগতের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। তার বিরুদ্ধে করা পৃথক দুই মামলায় দুদিন করে মোট চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়েছে।
তেজগাঁও থানার মামলায় তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশের উপপরিদর্শক শাহরিয়ার আলম দুই মামলায় আসামি মুন্নার সাত দিন করে মোট ১৪ দিনের রিমান্ডের আবেদন করেন। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট দেবব্রত বিশ্বাস দুদিন করে মোট চারদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
বিজ্ঞাপন
মঙ্গলবার (২৬ জানুয়ারি) তেজগাঁও থানার আদালতের সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা আফসানা আক্তার এসব তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, ‘গত ২৫ জানুয়ারি তেজগাঁও থানার মামলায় তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশের উপপরিদর্শক শাহরিয়ার আলম আসামি মুন্নার সাতদিন করে মোট ১৪ দিনের রিমান্ডের আবেদন করেন। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারক দুদিন করে মোট চারদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।’
গত বছরের ১৯ নভেম্বর রাতে তাকে গ্রেপ্তার করে সিআইডি। ২০ নভেম্বর ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মামুনুর রশিদের আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন এ আসামি। জবানবন্দি নিয়ে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
বিজ্ঞাপন
গত বছরের ১০ ডিসেম্বর তেজগাঁও থানার এসআই মো. আল আমিন বাদী হয়ে একটি মামলা করেন। এরপর ২৫ ডিসেম্বর তেজগাঁও থানার এসআই সনজিৎ কুমার ঘোষ বাদী মুন্নার বিরুদ্ধে আরেকটি মামলা করেন।
সিআইডি সূত্রে জানা যায়, বিভিন্ন স্থান থেকে ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ মর্গে আনা হলে এসব মরদেহের মধ্যে নারীদের ধর্ষণ করতেন মুন্না ভগত।
সিআইডি ও সংশ্লিষ্ট সূত্র আরও জানায়, গ্রেপ্তার হওয়া মুন্না ভগত সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের মর্গে ডোম জতন কুমার লালের সহযোগী হিসেবে কাজ করতেন। দুই-তিন বছর ধরে সে মর্গে থাকা মৃত নারীদের ধর্ষণ করে আসছিলেন। সম্প্রতি এরকম একটি অভিযোগ পেয়ে মুন্নার বিষয়ে অনুসন্ধান শুরু করে সিআইডি। প্রাথমিক অনুসন্ধানে ঘটনার সত্যতা পাওয়ায় মুন্নাকে গ্রেপ্তার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে মুন্না মৃত নারীদের ধর্ষণের কথা স্বীকার করেছেন।
সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের মর্গে দায়িত্বরত ডোম ও মুন্নার মামা জতন কুমার লাল জানান, মুন্না গত দুই/তিন বছর ধরে তার সহযোগী হিসেবে মর্গে কাজ করতেন। তার বাবার নাম দুলাল ভগত। গ্রামের বাড়ি রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ বাজারে। সে আরও দুই/তিন জনের সঙ্গে মর্গের পাশে একটি কক্ষেই রাতে থাকতেন।
উল্লেখ্য, গত বছরের ২৯ মার্চ থেকে চলতি বছরের ২৩ আগস্ট পর্যন্ত অন্তত পাঁচজন মৃত কিশোরীর মরদেহ ধর্ষণ করা হয়েছে বলে প্রমাণ পেয়েছে সিআইডি।
টিএইচ/এফআর