মানিলন্ডারিং মামলায় এনু-রূপনসহ ১১ জনের বিচার শুরু
এনু-রূপন গ্রেপ্তারের ফাইল ছবি
মানিলন্ডারিং মামলায় ক্যাসিনোকাণ্ডে জড়িত আলোচিত দুই ভাই গেন্ডারিয়া থানা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি এনামুল হক ওরফে এনু ও সাধারণ সম্পাদক রূপনসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেছেন আদালত। এরমধ্য দিয়ে মামলার আনুষ্ঠানিক বিচার শুরু হলো। ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫’র বিচারক মো. ইকবাল হোসেন অভিযোগ গঠন করেন।
বুধবার (২৭ জানুয়ারি) সংশ্লিষ্ট আদালতের বেন্স সহকারী মো. মতিয়ার রহমান এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, ‘গত ২৬ জানুয়ারি ওয়ারী থানার মানিলন্ডারিং দুই মামলায় এনু ও রূপনসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন আদালত।’
বিজ্ঞাপন
মামলার অপর আসামিরা হলেন- তুহিন মুন্সি, জয় গোপাল, আবুল কালাম আজাদ, নবী হোসেন, সাইফুল ইসলাম, এনামুল ও রূপনের ভাই মেরাজুল হক ভূঁইয়া, রশিদুল হক ভূঁইয়া, শহিদুল হক ভূঁইয়া এবং পাভেল রহমান। তবে এ মামলায় এনামুল ও রূপনের ভাই মেরাজুল হক ভূঁইয়া, রশিদুল হক ভূঁইয়া, শহিদুল হক ভূঁইয়া এবং পাভেল রহমান পলাতক রয়েছেন।
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বরে ক্যাসিনো ব্যবসার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তার ও অর্থ জব্দ করা হয়। মানিলন্ডারিং আইনে দায়ের হওয়া ৯টি মামলার তদন্তের দায়িত্ব পায় সিআইডি। ৯টির মধ্যে চারটি মামলার এজাহারে এনু-রূপনের নাম রয়েছে। ঢাকার কেরানীগঞ্জ থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। জিজ্ঞাসাবাদে সম্পত্তির বিষয়ে তাদের কাছ থেকে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া যায়।তাদের দুইজনের ২২টি জমি ও বাড়ি রয়েছে। যার অধিকাংশই পুরান ঢাকা কেন্দ্রিক। সারাদেশে ব্যাংকের বিভিন্ন শাখায় ৯১টি অ্যাকাউন্টে তাদের মোট ১৯ কোটি টাকা জমা রয়েছে। ব্যক্তিগত পাঁচটি গাড়িও রয়েছে তাদের।
বিজ্ঞাপন
টিএইচ/এইচকে