বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান (মাদরাসা) জনবল কাঠামো ও এমপিও নীতিমালা-২০১৮ (২৩ নভেম্বর ২০২০ পর্যন্ত সংশোধিত) এর মাধ্যমে আগের নীতিমালা বাতিল করে আলিম স্তরের আরবি প্রভাষক পদ থেকে কামিল, ফাজিল (পাস) এবং আলিম মাদরাসার অধ্যক্ষ, উপাধ্যক্ষ ও মুহাদ্দিস পদে নতুন নিয়োগের প্রক্রিয়ায় আবেদনের সুযোগ না দেওয়া কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।  

একইসঙ্গে আলিম স্তরের আরবির প্রভাষক পদ থেকে কামিল, ফাজিল (পাস) এবং আলিম মাদরাসার অধ্যক্ষ, উপাধ্যক্ষ ও মুহাদ্দিস পদে নতুন নিয়োগের প্রক্রিয়ায় আবেদনের সুযোগ দেওয়ার বিধি অন্তর্ভুক্ত করার নির্দেশনা কেন দেওয়া হবে না, রুলে তাও জানতে চাওয়া হয়েছে।

সোমবার (১৫ নভেম্ববর) দেশের বিভিন্ন এলাকার আলিম মাদরাসার ৮ জন আরবি প্রভাষকের দায়ের করা রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে    বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুল জারি করেন।

আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব (কারিগরি ও মাদরাসা বিভাগ) ও মাদরাসা অধিদফতরের মহাপরিচালকসহ (ডিজি) সংশ্লিষ্ট ৫ জনকে এই রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে। আদালতে রিটকারীদের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ ছিদ্দিক উল্লাহ মিয়া। অপরদিকে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অ্যাডভোকেট বিপুল বাগমার।

পরে অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ ছিদ্দিক উল্লাহ মিয়া বলেন, বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান (স্কুল, কলেজ, মাদরাসা ও কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো) এর শিক্ষক ও কর্মচারীদের বেতন-ভাতাদির সরকারি অংশ দেওয়া এবং জনবলকাঠামো সর্ম্পকিত নির্দেশিকা, ২০১০ (সংশোধিত, ২০১৩) অনুসারে আলিম স্তরের আরবির প্রভাষক পদ থেকে কামিল, ফাজিল (পাস) এবং আলিম মাদরাসার অধ্যক্ষ, উপাধ্যক্ষ ও মুহাদ্দিস পদে নতুন নিয়োগের প্রক্রিয়ায় আবেদনের সুযোগ ছিল। কিন্তু বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান (মাদরাসা) জনবল কাঠামো ও এমপিও নীতিমালা-২০১৮ (২৩ নভেম্বর ২০২০ পর্যন্ত সংশোধিত) এর মাধ্যমে আগের নীতিমালা বাতিল করে আলিম স্তরের আরবির প্রভাষক পদ থেকে কামিল, ফাজিল (পাস) এবং আলিম মাদরাসার অধ্যক্ষ, উপাধ্যক্ষ ও মুহাদ্দিস পদে নতুন নিয়োগের প্রক্রিয়ায় আবেদনের সুযোগ না রেখে ও ইবতেদায়ি প্রধান, দাখিল মাদরাসার সুপারদের আবেদনের সুযোগ দিয়ে নীতিমালা প্রণয়ন করা হয়। 

এ কারণে মাদরাসা শিক্ষক আব্দুল মান্নান, জয়নুল আবেদীন, আব্দুল মান্নান, মোহাম্মদ নুরুল হক, মোহাম্মদ মুসা কাজেম, মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন, মো. জালাল উদ্দিন এবং মুহাম্মদ ছায়েদুল হক হাইকোর্টে রিট করেন।

এমএইচডি/জেডএস