এএসপি নাজমুস সাকিব

যৌতুকের দাবিতে স্ত্রীকে দফায় দফায় শারীরিক নির্যাতন ও ভ্রূণ হত্যার অভিযোগে দায়ের করা মামলায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (এএসপি) নাজমুস সাকিবকে ৬ মাসের জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট।

বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি কাজী মো. ইজারুল হক আকন্দের হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন।

গত ১৩ ডিসেম্বর তার জামিন হলেও মঙ্গলবার (১৫ ডিসেম্বর) আদালতের আদেশের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আমিনুল ইসলাম ও বাদীর আইনজীবী অ্যাডভোকেট ইশরাত হাসান।

এর আগে ২৪ নভেম্বর ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক নাজমুস সাকিবের জামিন আবেদন খারিজ করেন। পরে হাইকোর্টে জামিন আবেদন করেন নাজমুস সাকিব।

যৌতুকের দাবিতে স্ত্রীকে দফায় দফায় শারীরিক নির্যাতন ও ভ্রূণ হত্যার অভিযোগে দায়ের করা মামলায় পুলিশের বরখাস্তকৃত এএসপি নাজমুস সাকিবকে গত ১৫ সেপ্টেম্বর কারাগারে পাঠান আদালত।

নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৬ এর বিচারক আব্দুল আল মামুন জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

এএসপি নাজমুস সাকিব সর্বশেষ খাগড়াছড়ির এপিবিএন স্পেশালাইজড ট্রেনিং সেন্টারে কর্মরত ছিলেন। তাকে বরখাস্তের সুপারিশ করা হয়েছে।

দফায় দফায় শারীরিক নির্যাতন ও জোর করে গর্ভপাত ঘটানোর অভিযোগে গত ৪ মে রমনা থানায় মামলা দায়ের করেন নাজমুস সাকিবের স্ত্রী ইসরাত রহমান। মামলায় সাকিবের বাবা ও মাকেও আসামি করা হয়।

মামলার অভিযোগে থেকে জানা যায়, তিন বছর আগে নাজমুস সাকিবের সঙ্গে পারিবারিকভাবে বিয়ে হয় মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের কন্যা ইসরাত রহমানের।

স্ত্রী ইসরাতের দাবি, বিয়ের পর থেকেই যৌতুকের দাবিতে শুরু হয় শারীরিক নির্যাতন। স্বামীর নির্যাতনে কয়েকবার হাসপাতালেও চিকিৎসা নিতে হয় তাকে। ২০১৯ সালের জুলাই মাসে তাকে জোর করে গর্ভপাত করানো হয় বলে অভিযোগ করেছেন ইসরাত রহমান।

এমএইচডি/এফআর