সাংবা‌দিক শ‌ফিকুল ইসলাম কাজল

রাজধানীর হাজারীবাগ ও কামরাঙ্গীরচর থানায় ফটো সাংবা‌দিক শ‌ফিকুল ইসলাম কাজলের বিরুদ্ধে ডি‌জিটাল নিরাপত্তা আইনে করা মামলার তদন্ত কর্মকর্তাকে ফের তলব করেছেন হাইকোর্ট। আগামী বৃহস্পতিবার (১৭ ডিসেম্বর) নথিসহ আদালতে হাজির হয়ে মামলার তদন্ত কোন পর্যায়ে আছে তা জানাতে বলা হয়েছে।

মঙ্গলবার (১৫ ডিসেম্বর) হাইকোর্টের বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এই আদেশ দেন। আদালতে সাংবাদিক কাজলের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সরোয়ার হোসেন বাপ্পী।

গত ২৪ নভেম্বর ডি‌জিটাল নিরাপত্তা আইনে রাজধানীর শেরে বাংলা নগর থানায় দায়ের করা মামলায় ফ‌টো সাংবা‌দিক শ‌ফিকুল ইসলাম কাজ‌লকে জামিন দেন হাইকোর্ট। পাশাপাশি হাজারীবাগ ও কামরাঙ্গীরচর থানায় দায়ের করা এই মামলার তদন্ত কর্মকর্তাকে তলব করেন। আদালতের আদেশ সত্ত্বেও তদন্ত কর্মকর্তা আজ (১৫ ডিসেম্বর) হাজির না হওয়ায় হাইকোর্ট অসন্তোষ প্রকাশ করেন। একইসঙ্গে মামলার তদন্ত কর্মকর্তাকে ফের আগামী বৃহস্পতিবার (১৭ ডিসেম্বর) তলব করা হয়।

এর আগে গত ৯ মার্চ রাজধানী শেরে বাংলা নগর থানায় কাজ‌লসহ ৩২ জ‌নের বিরু‌দ্ধে ডি‌জিটাল নিরাপত্তা আইনে প্রথম মামলা‌টি দায়ের ক‌রেন মাগুরা-১ আস‌নের সরকারদলীয় সংসদ সদস্য সাইফুজ্জামান শেখর। এরপর ১০-১১ মার্চ রাজধানী হাজারীবাগ ও কামরাঙ্গীরচর থানায় ডি‌জিটাল নিরাপত্তা আইনে আরও দু‌টি মামলা দায়ের করা হয়।

১১ মার্চ সাংবা‌দিক কাজ‌লের বি‌রু‌দ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে হাজারীবাগ থানায় মামলাটি করেন যুব মহিলা লীগের নেত্রী ইয়াসমিন আরা ওরফে বেলী।

এরপর গত ১৮ মার্চ রাতে কাজলকে অপহরণ করা হয়েছে মর্মে অভিযোগ এনে রাজধানীর চকবাজার থানায় মামলা করেন তার ছেলে মনোরম পলক।

ঢাকা থেকে নিখোঁজের ৫৩ দিন পর গত ২ মে রাতে যশোরের বেনাপোলের ভারতীয় সীমান্ত সাদিপুর থেকে ফ‌টো সাংবাদিক ও দৈনিক পক্ষকালের সম্পাদক শফিকুল ইসলাম কাজলকে আটক করে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। পর‌দিন (৩ মে) অনুপ্রবেশের দায়ে বিজিবির করা মামলায় আদালতে সাংবাদিক কাজলের জামিন মঞ্জুর হলেও পরবর্তীতে কোতোয়ালী মডেল থানায় ৫৪ ধারায় অপর একটি মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখানো হয়। সেই থেকে সাংবাদিক কাজল কারাগারে আছেন।

এমএইডি/টিএম/এফআর