নারায়ণগঞ্জের শিক্ষার্থী তানিয়াকে গণধর্ষণের পর হত্যা মামলায় দুই আসামির ফাঁসি বহাল রেখেছেন হাইকোর্ট। এ দুজন হলেন আমির হোসেন ওরফে খোকন ও মোহর চাঁন। 

একইসঙ্গে আসামি সফর আলীর যাবজ্জীবন বহাল রেখেছেন আদালত। নিম্ন আদালতে যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত অপর দুই আসামি নুর আলম ও মনির হোসেনকে খালাস দিয়েছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার (২ ডিসেম্বর) বিচারপতি এস এম এমদাদুল হকের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন।

আদালতে আসামিদের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট এ কে এম ফায়েজ ও অ্যাডভোকেট মন্টু চন্দ্র ঘোষ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল হারুনুর রশিদ ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল জাহিদ আহমদ হিরো।

মামলা সূত্রে জানা গেছে, ১৯৯৯ সালের ১৩ ডিসেম্বর নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে রেবতি মোহন উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী তানিয়াকে ডেকে নিয়ে আমির হোসেন খোকন তার চারবন্ধুসহ পালাক্রমে ধর্ষণ করে তার গলায় ওড়না পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। হত্যার পর লাশ শীতলক্ষ্যা নদীর পাড়ে ফেলে রেখে পালিয়ে যায় আসামিরা। খোকন ও তানিয়া পূর্ব পরিচিত ছিলেন।

এ ঘটনায় নিহতের মামা বাদি হয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় পাঁচজনকে আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেন। বিচার শেষে ২০১৫ সালের ৩ নভেম্বর রায় ঘোষণা করেন বিচারিক আদালত। রায়ে মোহর চাঁন ও আমির হোসেন খোকনকে ফাঁসি এবং সফর আলী, নুরে আলম ও মনিরকে যাবজ্জীবন সাজা দেওয়া হয়।

এরপর ডেথ রেফারেন্স (মৃত্যুদণ্ডাদেশ অনুমোদনের নথি) হাইকোর্টে আসে। আর আসামিরা আপিল ও জেল আপিল করেন। দুটির একসঙ্গে শুনানি শেষে হাইকোর্ট বৃহস্পতিবার রায় দেন।

এমএইচডি/ওএফ