বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ অন্যান্য আসামির বিরুদ্ধে গ্যাটকো দুর্নীতি মামলার অভিযোগ গঠনের শুনানির দিন পিছিয়েছে। অভিযোগ গঠনের শুনানির পরবর্তী তারিখ আগামী বছরের ২৩ জানুয়ারি নির্ধারণ করেছেন আদালত।

বুধবার (১৫ ডিসেম্বর) ঢাকা বিশেষ জজ আদালত-৩ এর বিচারক মুহাম্মদ আলী হোসেন পরবর্তী তারিখ নির্ধারণ করে বিচার কাজ মুলতবি ঘোষণা করেন।

এর আগে বিচারিক আদালত আসামি জুলফিকার আলীর জামিন আবেদন খারিজ করেন এবং তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন। 

আদালত সূত্র জানায়, জুলফিকার আলী আজ আদালতে উপস্থিত হননি। এমনকি হাজিরা খাতাও আদালতে উপস্থাপন করা হয়নি।

খালেদা জিয়ার আইনজীবী মাসুদ আহমেদ আজ তালুকদার আদালতে পৃথক আবেদন করেন। আবেদনে আসামির অনুপস্থিতির অনুমোদন এবং শুনানি স্থগিত চেয়ে আদালতের আদেশ প্রার্থনা করা হয়।

আবেদনপত্রে আইনজীবী মাসুদ উল্লেখ করেন, বিভিন্ন ধরনের শারীরিক জটিলতা নিয়ে গত ১৪ নভেম্বর থেকে খালেদা জিয়া হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। যে কারণে তিনি আদালতে উপস্থিত হতে পারেননি। 

বিএনপি নেতা খন্দকার মোশাররফ হোসেন, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী এবং এই মামলার বাকি ১০ আসামি বর্তমানে জামিনে আছেন। তারা আজ আদালতে উপস্থিত ছিলেন। আরও ২ আসামি আজ আদালতে অনুপস্থিত ছিলেন। তাদের পক্ষে আইনজীবী আদালতে অনুমোদন চেয়ে আবেদন করেন।

উল্লেখ্য, ২০০৭ সালের ২ সেপ্টেম্বর দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) উপ-পরিচালক গোলাম শাহরিয়ার চৌধুরী চার দলীয় জোট সরকারের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া, তার ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকোসহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে তেজগাঁও থানায় এ মামলা করেন। মামলার পরদিন খালেদা জিয়া ও কোকোকে গ্রেফতার করা হয়।
ওই বছরের ১৮ সেপ্টেম্বর মামলাটি অন্তর্ভুক্ত করা হয় জরুরি ক্ষমতা আইনে। পরের বছর ১৩ মে খালেদা জিয়াসহ ২৪ জনের বিরুদ্ধে এ মামলায় অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়।

মামলার অভিযোগপত্রে বলা হয়, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান গ্যাটকোকে ঢাকার কমলাপুর আইসিডি ও চট্টগ্রাম বন্দরের কনটেইনার হ্যান্ডলিংয়ের কাজ পাইয়ে দিয়ে রাষ্ট্রের ১৪ কোটি ৫৬ লাখ ৩৭ হাজার ৬১৬ টাকার ক্ষতি করেছেন। মামলার ২৪ আসামির মধ্যে ৫ জন ইতোমধ্যে মারা গেছেন এবং একজনের যুদ্ধাপরাধ মামলায় ফাঁসি কার্যকর হয়।

এসকেডি