ডা. সাবরিনা আরিফ চৌধুরী : সংগৃহীত ছবি

করোনা পরীক্ষায় জালিয়াতির অভিযোগে বরখাস্ত হওয়া ডা. সাবরিনা আরিফ চৌধুরীর বিরুদ্ধে তথ্য গোপন করে দ্বিতীয় জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) করার অভিযোগে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) করা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন পিছিয়েছে। পরবর্তী তদন্ত প্রতিবেদনের জন্য আগামী ৩ মার্চ দিন ধার্য করেছেন আদালত।

সোমবার (১ ফেব্রুয়ারি) মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের দিন জন্য ধার্য ছিল। কিন্তু তদন্ত কর্মকর্তা প্রতিবেদন দাখিল না করায় ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মামুনুর রশিদ পরবর্তী দিন ধার্য করেন। আদালতের সংশ্লিষ্ট থানার সাধারণ নিবন্ধন শাখা (জিআর) থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

এর আগে গত ৩০ আগস্ট বাড্ডা থানায় ডা. সাবরিনার বিরুদ্ধে মামলাটি করেন গুলশান থানা নির্বাচন অফিসার মোহাম্মদ মমিন মিয়া। তার আগে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) ডা. সাবরিনার দ্বৈত ভোটার হওয়ার বিষয়টি নির্বাচন কমিশনকে (ইসি) জানায়। দুদক একটি চিঠি দিয়ে এর ব্যাখ্যা চায়। গত ২৬ আগস্ট নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সিনিয়র সচিব মো. আলমগীর দুদকের চিঠির বিষয়ে সাংবাদিকদের নিশ্চিত করেন।

প্রসঙ্গত, ডা. সাবরিনা চৌধুরী তথ্য জালিয়াতি করে দুই এলাকায় ভোটার এবং দুটি জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) নিয়েছেন। তার দুটি এনআইডি-ই সচল এবং দুটিতে ভিন্ন তথ্য ব্যবহার করা হয়েছে। একটিতে জন্ম তারিখ ২ ডিসেম্বর ১৯৭৮। অপরটিতে ২ ডিসেম্বর ১৯৮৩। এক্ষেত্রে বয়স পাঁচ বছর কমানো হয়েছে। দুটি এনআইডিতে স্বামীর নামও ভিন্ন। একাধিক স্থায়ী ও বর্তমান ঠিকানা ব্যবহার করে ভোটার হন ডা. সাবরিনা। তার দুটি পরিচয়পত্রই অকার্যকর করা হয়েছে।

টিএইচ/এইচকে