কক্সবাজারে পর্যটক ধর্ষণের ঘটনায় বিচারবিভাগীয় তদন্ত চেয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়েছে।

আজ (সোমবার) সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট আবদুল্লাহ হারুন রাসেল ও অ্যাডভোকেট রাশিদা চৌধুরী এ রিট দায়ের করেন।

বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চে রিট আবেদনটি শুনানির জন্য উপস্থাপন করা হবে। 

রিটকারী আইনজীবী বলেন, বিভিন্ন সময় বিভিন্ন সংস্থা থেকে যেসব বক্তব্য পাওয়া গেছে,তা অনেকটা সাংঘর্ষিক। সেজন্য নতুন করে বিচারবিভাগীয় তদন্ত চাওয়া হয়েছে। রিট আবেদনে স্বরাষ্ট্র সচিব, আইজিপি,কক্সবাজারের র‌্যাবের সিওসহ ছয়জনকে বিবাদী করা হয়েছে।

ঘটনার বিষয়ে ওই নারী ঢাকা পোস্টকে বলেছিলেন, গত ২২ ডিসেম্বর তিনি স্বামী ও আট মাসের সন্তানসহ বুধবার বিকেলে সৈকতের লাবণী পয়েন্টে যান। সেখানে অপরিচিত এক যুবকের সঙ্গে তার স্বামীর ধাক্কা লাগলে কথা-কাটাকাটি হয়। সন্ধ্যার পর পর্যটন গলফ মাঠের সামনে থেকে তার সন্তান ও স্বামীকে সিএনজিচালিত অটোরিকশায় করে কয়েকজন তুলে নিয়ে যায়। 

এ সংক্রান্ত আরও খবর
গত দুই মাসে তিনবার কক্সবাজারে এসেছেন ওই নারী : পুলিশ 
প্রেমের ফাঁদে ফেলে ধর্ষণ ও পাচার করত আশিকরা! 
কক্সবাজারে পর্যটককে গণধর্ষণে জড়িতদের শাস্তি দাবি

এ সময় আরেকটি অটোরিকশায় তাকে তুলে নেয় তিন যুবক। পর্যটন গলফ মাঠের পেছনে একটি ঝুপড়ি চায়ের দোকানের পেছনে তারা তাকে ধর্ষণ করেন। পরে তিনি জানালা দিয়ে এক যুবকের সাহায্য নিয়ে নিজেকে উদ্ধার করেন। র‍্যাবের সহায়তায় তার স্বামী-সন্তানকে পর্যটন গলফ মাঠের সামনে থেকে উদ্ধার করা হয়।

এ ঘটনার পর জিয়া গেস্ট ইনের সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করে র‍্যাব। এতে দেখা যায়, তিন যুবক অটোরিকশায় এক নারীকে নিয়ে আসেন। দুজন ওই নারীর সঙ্গে থাকেন। আরেকজন হোটেলের রুম বুকিং দেন। সে সময় রিসিপশনে হোটেলের ব্যবস্থাপক ছোটন ছিলেন।

এরপর তিন যুবক ওই নারীকে নিয়ে ওপরে চলে যান। রাত সাড়ে ১০টার দিকে যুবকরা বেরিয়ে গেলেও ওই নারীকে নামতে দেখা যায়নি। র‍্যাব জানায়, এই ফুটেজ থেকে দুজনকে শনাক্তের পর ওই নারীকে তাদের ছবি দেখানো হয়। তিনি তাদের চিনতে পেরেছেন বলে জানান।

এমএইচডি/এনএফ