ফাইল ছবি

সাংবাদিকদের ‘চোর’ বলার অভিযোগে অভিনেত্রী শমী কায়সারের বিরুদ্ধে দায়ের করা মানহানি মামলায় ফের অব্যাহতির আবেদন করেছে পুলিশ। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) পরিদর্শক লুৎফুর রহমান এ প্রতিবেদন দাখিল করেন।

বুধবার (৩ ফেব্রুয়ারি) তদন্ত প্রতিবেদন শুনানির দিন ধার্য ছিল। কিন্তু বিচারক ছুটিতে থাকায় প্রতিবেদন শুনানি না হওয়ায় ভারপ্রাপ্ত ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সত্যব্রত সিকদার শুনানির জন্য এদিন ধার্য করেন। এর আগে গত ৩১ জানুয়ারি তদন্ত কর্মকর্তা আদালতে শমী কায়সারের বিরুদ্ধে অভিযোগের সত্যতা না পাওয়ার চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন।

তদন্ত কর্মকর্তা প্রতিবেদনে উল্লেখ করেন যে, শমী কায়সার মামলার বাদী বা উপস্থিত কোনো সাংবাদিককে চোর বলে মন্তব্য করেনি। তাদের আটক রাখা অথবা আটক করে তল্লাশি করার নির্দেশনার বিষয়ে কোনো প্রত্যক্ষদর্শী সাক্ষী বা  সাক্ষ্য প্রমাণ পাওয়া যায়নি। বাদী নিজেও কোনো সাক্ষী উপস্থাপন করতে পারেননি। বাদী এ সংক্রান্ত কোনো ভিডিও ফুটেজ উপস্থাপন করতে পারেননি। 

তাছড়া অভিযোগে উল্লেখিত ঘটনাটি অনুষ্ঠানের আয়োজক কর্তৃপক্ষের নিরাপত্তা রক্ষীদের অনাকাঙ্ক্ষিত বাড়াবাড়ির কারণে ভুল বোঝাবুঝির ঘটনা হিসেবে অনুসন্ধানে প্রকাশ পায় বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।

গত ২০১৯ সালের ২৫ নভেম্বর মামলার বাদী নুজহাতুল হাসানের নারাজির আবেদনের প্রেক্ষিতে পিবিআই পুনরায় মামলা তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন। একই বছরের ২৪ অক্টোবর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা শাহবাগ থানার ওসি (তদন্ত) মাহবুব রহমান এ মামলায় বাদীর অভিযোগের সত্যতা খুঁজে পাননি বলে আদালতে একটি প্রতিবেদন দাখিল করেন। ওই দিনই বাদী আদালতে ওই প্রতিবেদনের ওপর অনাস্থা (নারাজি) প্রকাশ করে পুনরায় তদন্ত প্রতিবেদনের আবেদন করবেন বলে আদালতকে জানান।

প্রসঙ্গত, গত ২০১৯ সালের  ৩০ এপ্রিল ‘স্টুডেন্ট জার্নাল বিডি’র সম্পাদক নুজহাতুল হাসান দণ্ডবিধির ৫০০ ধারায় অভিনেত্রী শমী কায়সারের বিরুদ্ধে মানহানির এই মামলা দায়ের করেন। এজাহারে উল্লেখ করা হয়, আসামির আচরণ বাদী ও দেশের সাংবাদিকসহ সমাজের অন্যান্য মহলের জন্য অত্যন্ত মানহানিকর ও অপমানজনক। তার আচরণের বিষয়টি অনলাইন গণমাধ্যমে প্রচারিত হওয়ায় বাদী ও সাংবাদিকদের অপূরণীয় ক্ষতি হয়েছে। সাংবাদিকদের ‘চোর’ আখ্যায়িত করে দেশ ও জাতির কাছে বাদীর ভাবমূর্তি নষ্ট করেছেন আসামি।

উল্লেখ্য, গত ২০১৯ সালের ২৪ এপ্রিল জাতীয় প্রেস ক্লাবে ই-কমার্সভিত্তিক পর্যটনবিষয়ক সাইট ‘বিন্দু ৩৬৫’-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে শমী কায়সারের দুটি স্মার্টফোন চুরি হয়। ওই অনুষ্ঠানে ৫০ জনের মতো ফটো সাংবাদিক, ভিডিও ক্যামেরাম্যান ও শতাধিক মানুষ উপস্থিত ছিলেন।

টিএইচ/ওএফ