গোয়েন্দা পুলিশের হেফাজতে শাহীন রেজা রুবেল হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের রায় পুনর্বিবেচনা চেয়ে আবেদন করেছেন তৎকালীন এসআই হায়াতুল ইসলাম ঠাকুর। সম্প্রতি তিনি এ আবেদন করেন। বৃহস্পতিবার (২০ জানুয়ারি) আপিল বিভাগের বিচারপতি মো. নূরুজ্জামান ননীর নেতৃত্বাধীন আপিল বেঞ্চে আবেদনটি শুনানির জন্য তালিকায় আসে। পরে আদালত ২৭ জানুয়ারি পর্যন্ত শুনানি মুলতবি করেন।

শুনানিতে এসআই হায়াতুলের পক্ষে ছিলেন সিনিয়র অ্যাডভোকেট মুনসুরুল হক চৌধুরী।

ইন্ডিপেন্ডেন্ট ইউনিভার্সিটির ছাত্র রুবেলকে ১৯৯৮ সালের ২৩ জুলাই ডিবির এসআই হায়াতুল ইসলাম ঠাকুরের নেতৃত্বে একটি দল আটক করে। পরে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) হেফাজতে থাকা অবস্থায় রুবেলের মৃত্যু হয়। ওই ঘটনায় করা মামলার রায়ে বিচারিক আদালত ২০০২ সালের ১৭ জুন এসি আকরামসহ ১৩ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং মুকুলি বেগম নামের এক আসামিকে এক বছরের কারাদণ্ড দেন।

বিচারিক আদালতের এ রায়ের বিরুদ্ধে ২০০২ সালে হাইকোর্টে আপিল করে আসামিপক্ষ। আপিলের শুনানি শেষে হাইকোর্ট এসি আকরাম, মুকুলি বেগমসহ ১৩ আসামিকে খালাস দিয়ে হায়াতুল ইসলামের সাজা বহাল রাখেন।

হাইকোর্টের রায়ের পর ২০১১ সালের ৯ মে রাতে কারাগার থেকে মুক্তি পান এসি আকরাম। খালাসপ্রাপ্ত অন্যরা হলেন— আমিনুল ইসলাম, আমীর আহমেদ তারেক, নুরুল আলম, আবদুল করিম, নুরুজ্জামান, রাতুল পারভেজ, মীর ফারুক, মংশেওয়েন, আবুল কালাম আজাদ, কামরুল হাসান, জাকির হোসেন ও মুকুলি বেগম।

এরপর রাষ্ট্রপক্ষ এসি আকরামের খালাসের বিরুদ্ধে এবং হায়াতুল ঠাকুর তার যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের বিরুদ্ধে আপিল করেন। রাষ্ট্রপক্ষের লিভ টু আপিল মঞ্জুর করে ২০১৫ সালের ৩০ আগস্ট এসি আকরামকে সাত দিনের মধ্যে বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেন আপিল বিভাগ। এরপর আপিল শুনানি শেষে ২০১৭ সালের ২৮ মার্চ তৎকালীন ডিবির সহকারী পুলিশ কমিশনার (এসি) মো. আকরাম হোসেনসহ ১৩ আসামির খালাসের রায় বহাল রাখেন আপিল বিভাগ।

তবে আপিল খারিজ করে এসআই হায়াতুল ইসলাম ঠাকুরের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড বহাল রাখা হয়। এরপর হায়াতুল ইসলাম রিভিউ আবেদন করেন।

উল্লেখ্য, গত বছরের ১৬ জুলাই এসি আকরাম মৃত্যুবরণ করেন।

এমএইচডি/এসএসএইচ