উচ্চ আদালতের নির্দেশনায় পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলের (খাগড়াছড়ি, বান্দরবান ও রাঙামাটি) ২০ উপজেলায় ৬৪টি অবৈধ ইটভাটা বন্ধ করা হয়েছে।

বুধবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) বিচারপতি জে বি এম হাসান এবং বিচারপতি ফাতেমা নজীবের হাইকোর্ট বেঞ্চে পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলের তিন জেলার জেলা প্রশাসকের দাখিল করা প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

রাঙামাটি, বান্দরবন এবং খাগড়াছড়ি জেলার জেলা প্রশাসকরা আজ আদালতে এভিডেভিট আকারে প্রতিবেদন দাখিল করে জানান, রাঙামাটি জেলার বাঘাইছড়ি উপজেলায় ২, কাপ্তাই উপজেলায় ১, লংগদু উপজেলায় ৩, রাজস্থলি উপজেলায় ৩টি এবং কাউখালি উপজেলায় ১৬টি অবৈধ ইটভাটার কার্যক্রম বন্ধ করা হয়েছে। রাঙামাটি জেলার জুরাছড়ি, রাঙামাটি সদর, বরকল, বিলাইছড়ি, নাণিয়ারচর উপজেলায় কোনো ইটভাটা নেই মর্মে রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়।

বান্দরবান জেলার আলিকদম উপজেলায় ২, লামা উপজেলায় ৩ এবং লাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলায় কয়েকটি অবৈধ ইটভাটার কার্যক্রম বন্ধ করা হয়েছে। খাগড়াছড়ি জেলায় সদর উপজেলায় ৫টি, মাটিরাঙা উপজেলায় ৬, পানছড়ি উপজেলায় ৩, দীঘিনালা উপজেলায় ২, মহালছড়ি উপজেলায় ৩, মানিকছড়ি উপজেলায় ১, রামগড় উপজেলায় ৯, গুইমাড়া উপজেলায় ৫টি অবৈধ ইটভাটার কার্যক্রম বন্ধ করা হয়েছে।

আদালত এ বিষয়ে পরবর্তী শুনানির জন্য আগামী ৯ মার্চ দিন ধার্য করেছেন। বিষয়টি  নিশ্চিত করেছেন রিটকারী আইনজীবী অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ।

এর আগে ২৫ জানুয়ারি চট্টগ্রামের খাগড়াছড়ি, বান্দরবান ও রাঙামাটির সব অবৈধ ইটভাটার কার্যক্রম সাতদিনের মধ্যে বন্ধ করার নির্দেশ দিয়েছিলেন হাইকোর্ট। লাইসেন্স ছাড়া এই তিন জেলার ইটভাটা পরিচালনা, পাহাড় কেটে মাটি ইটভাটায় কাঁচামাল হিসেবে ব্যবহার এবং বনের গাছ কেটে জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে মর্মে গণমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হলে জনস্বার্থে হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশ (এইচআরপিবি) এই রিট করে।

এমএইচডি/এসএম