গরম পড়ার সঙ্গে সঙ্গেই তরমুজ খাওয়ার প্রবণতা বেড়ে যায়। তবে বিপত্তি বাঁধে অন্য জায়গায়। তরমুজ খেতে গিয়ে অনেকে তরমুজের বীজও খেয়ে ফেলেন। কিন্তু প্রশ্ন হলো, তরমুজের বীজ পেটে গেলে কী হয়? বিস্তারিত বলছি এই প্রতিবেদনে- 

সম্প্রতি ভারতীয় গণমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমসকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে আয়ুর্বেদ বিশেষজ্ঞ দীক্ষা ভাবসার তরমুজের গুণাগুণ নিয়ে আলোচনা করেন। তিনি বলেন, প্রাচীন শাস্ত্রে তরমুজ নিয়ে বহু কথা বলা হয়েছে। সেখানে আছে তরমুজের গুণ, আছে সমস্যার কথাও। এমনকি কখন খেতে পারবেন, কখন খাওয়া যাবে না-যেসবও বলা আছে শাস্ত্রে।

তরমুজের গুণ

১। তরমুজ শরীরে জলের ঘাটতি কমায়। 
২। ক্লান্তি কমায়। 
৩। এর বহু পুষ্টিগুণ এবং ভিটামিন রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। 
৪। যাদের মূত্রত্যাগ করা নিয়ে নানা ধরনের সমস্যা বা কিডনি-জনিত নানা অসুখ আছে, তাদের জন্য তরমুজ উপকারী হতে পারে। 
৫। হজম ক্ষমতা বাড়াতেও কাজে লাগে তরমুজ।

তরমুজের সমস্যা

১। তরমুজ অন্য খাবার হজমে সাহায্য করলেও, নিজে দেরিতে হজম হয়। ফলে পেট ভার লাগতে পারে। 
২। তরমুজ বেশি খেলে গ্যাসের সমস্যাও হতে পারে।

কতটুকু তরমুজ খাবেন?

১। একবাটি কাটা তরমুজ খেতে পারেন।
২।  ভারী খাবার খাওয়ার পরে তরমুজ খাবেন না।

যেসব সময়ে তরমুজ খাওয়া যাবে

১। সকাল ১০টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত যে কোনও সময়ে তরমুজ খেতে পারেন।
২। তবে দিনের আলো থাকতে থাকতে তরমুজ খেলে তা সহজে হজম হয়। 
৩। সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৫টার মধ্যে খেলে সবচেয়ে ভালো।

যাদের জন্য তরমুজ ক্ষতিকর

১। যাদের ডায়াবেটিসের সমস্যা রয়েছে তারা এই ফলটি বেশি খাবেন না। 
২।  চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে তবেই খাবেন। 

এবার আসা যাক, শেষ কথায়। তরমুজ খাওয়ার সময়ে পেটে বীজ গেলে কী হবে? বিশেষজ্ঞরা বলছেন, তরমুজের বীজে linoleic acid, oleic acid, palmitic এবং stearic acids থাকে। এগুলো শরীরে গেলে কোনও ক্ষতি তো হয়ই না, উল্টো অনেক লাভ হয়। শরীর ঠাণ্ডা হয়, হজম ক্ষমতা বাড়ে।