বন্ধুর জন্য বছরে একটি বিশেষ দিন তো পালন করাই যায়, কিন্তু আপনার মনে প্রশ্ন আসতেই পারে যে এই দিবস কেমন করে এলো? এর শুরুটা কীভাবে হয়েছিল। বন্ধুত্বের শুরুটা পৃথিবীর শুরু থেকে হলেও বন্ধু দিবস শুরুর ইতিহাস খুব একটা পুরোনো নয়। মাত্র এক শতক আগে এর প্রচলন হয়েছিল। চলুন জেনে নেওয়া যাক বিস্তারিত-

বন্ধু দিবসের ইতিহাস

বন্ধু দিবসের পরিকল্পনা ও উৎপত্তি হয়েছিল যুক্তরাষ্ট্রে। ১৯১৯ সালের আগস্ট মাসের প্রথম রোববার  সর্বপ্রথম ‘বন্ধু দিবস’ হিসেবে পালন করা হয়েছিল সেখানেই। এরপর তারা নিজেদের মধ্যে কার্ড ও উপহার বিনিময় করতো। বন্ধু দিবসের শুরুটা হয়েছিল এভাবেই।

আরেকটি প্রচলিত মত হলো, ১৯৩৫ সালে যুক্তরাষ্ট্র সরকার এক ব্যক্তির মৃত্যুর কারণ হয়েছিল। সেই ঘটনার প্রতিবাদে পরদিন ওই ব্যক্তির এক বন্ধু আত্মহত্যা করেন। দিনটি ছিল আগস্ট মাসের প্রথম রোববার। বন্ধুর জন্য বন্ধুর আত্মত্যাগের প্রতি সম্মান জানাতে মার্কিন কংগ্রেস ১৯৩৫ সালের আগস্ট মাসের প্রথম রোববারকে ‘বন্ধু দিবস’ হিসেবে ঘোষণা করে। যা পরবর্তীতে পালিত হতে থাকে। এরপর অনেক দেশই বন্ধু দিবস পালন করা শুরু করে।

বন্ধু নিয়ে মজার তথ্য

এক গবেষণায় দেখা গেছে, একজন মানুষের সারা জীবনে সঙ্গে গড়ে ৩৯৬ জনের সঙ্গে বন্ধুত্ব হয়ে থাকে। তবে শেষ পর্যন্ত সব বন্ধু টিকে থাকে না, গড়ে টিকে থাকে ১২ জনের মতো।

গবেষকদের মতে, বন্ধুরা কাছাকাছি থাকলে মানুষের রক্তচাপ স্বাভাবিক থাকে এবং তা রোগ নিরাময়ে ভূমিকা রাখে। বিভিন্ন গবেষণায় উঠে এসেছে, বন্ধুকে জড়িয়ে ধরলে দুশ্চিন্তা কমে

শিশুরা হাঁটা ও কথা বলা শেখার আগেই বন্ধুত্বের অনুভূতি টের পেতে পারে। যে কারণে তারা খুব কম বয়সেই প্রিয় ও অপ্রিয় মানুষ নির্বাচন করে ফেলতে পারে।

বন্ধুদের মধ্যে জিনগত মিল থাকে, এমনটাও জানা গেছে এক গবেষণায়! প্রসিডিংস অব দ্য ন্যাশনাল অ্যাকাডেমি অব সায়েন্সেস সাময়িকীতে এ গবেষণা প্রতিবেদনটি প্রকাশিত হয়েছিল। সেই গবেষণায় গবেষকরা ১ হাজার ৯৩২ জন মানুষের ওপর জরিপ চালান। আত্মীয়দের বাইরে তাদের বন্ধুবান্ধব ও অপরিচিত ব্যক্তিদের সঙ্গে জিনগত বৈশিষ্ট্যের তুলনামূলক বিশ্লেষণও করা হয়। একই সামাজিক পরিমণ্ডলের মানুষের জিনে প্রায় এক শতাংশ মিল পাওয়া যায়। আর অনাত্মীয় বন্ধুদের মধ্যে জিনগত মিল অনেকটা দূরসম্পর্কের আত্মীয়ের সঙ্গে বিদ্যমান মিলের মতো।