অফিস মানেই কাজের চাপ। কাজের ফাঁকে ফাঁকে সামান্য আড্ডা কিংবা গল্প হতেই পারে। কিন্তু তা কেবল কফির কাপের কফিটুকু ফুরোনো পর্যন্ত। এরপর আবার কাজের ভেতর ডুব। অফিসে কাজ করতে গিয়ে সব সময় যে আপনার পথ মসৃণ পাবেন, তা কিন্তু নয়। বরং বিভিন্ন অনাকাঙ্ক্ষিত বিষয় মোকাবিলা করতে হতে পারে।

বিভিন্ন জটিল পরিস্থিতি কাজেরই অংশ। তাই ঘাবড়ে যাবেন না। যিনি ঠান্ডা মাথায় বিচক্ষণতার সঙ্গে পরিস্থিতি সামাল দিতে পারেন, তিনিই তো দক্ষ। নিজের দক্ষতা প্রমাণে তাই সচেষ্ট হতে হবে আপনাকেই। কাজের পরিবেশ সুন্দর রাখার জন্য এবং নির্বিঘ্নে কাজ করার জন্য কিছু জটিল পরিস্থিতি আপনাকে মোকাবিলা করতে হবে। জেনে নিন কোন পরিস্থিতিতে কী করবেন-

আপনার কাজের ক্রেডিট অন্য কেউ নিলে

অনেকক্ষেত্রে দেখা যায় কর্মীর কোনো কাজের কৃতিত্ব বিভাগীয় প্রধান নিয়ে নিচ্ছেন। এমন পরিস্থিতিতে আপনি কী করবেন? আপনি বলবেন, ‌‘আমার পয়েন্ট স্পটলাইট করার জন্য ধন্যবাদ’। আপনি সংযমের সঙ্গে কথাগুলো বলুন। ভদ্রভাবে কথা বলে অনেককিছুই সহজ করা সম্ভব। এতে আপনাদের যিনি বস, তিনিও বুঝে যাবেন যে কাজটি আপনার। আপনি যে কাজটি করে দিয়েছেন, তার বিস্তারিত প্রমাণ নিজের কাছে রাখুন।

আরও বেশি সময় থাকতে বললে

অনেক সময় দেখা যায় কর্মীদের বেশি সময় অফিসে থাকতে এক প্রকার বাধ্য করা হয়। বিশেষ করে তিনি যখন অফিস শেষে বের হয়ে যাচ্ছেন। এমন পরিস্থিতিতে মাথা গরম করবেন না। বিনয়ের সঙ্গে বলতে পারেন যে আপনার অন্য জায়গায় কাজ রয়েছে। আপনি যে এই কাজে অপরাগ তা সুন্দরভাবে বুঝিয়ে বের হয়ে আসা উচিত। সেইসঙ্গে কাজের সময়ের সীমা নির্ধারণ করা উচিত।

কোনো সহকর্মী কড়া ভাষায় কথা বললে

আপনার কোনো সহকর্মী আপনাকে কড়া ভাষায় কথা বললে আপনিও ঠিক সেভাবে উত্তর দিতে যাবেন না। কারণ এটি তর্ক বাড়িয়ে দেবে। অফিসে শান্তি বজায় রাখার জন্য আপনি শান্ত থাকার চেষ্টা করুন। সহকর্মীটি যদি আপনার প্রিয় কেউ হন তবে তাকে বুঝতে চেষ্টা করুন। হতে পারে তিনি খুব বেশি কাজের চাপে এমনটা করছেন।

কখন ‘না’ বলতে হবে

এমন অনেক পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে যখন আপনাকে ‘না’ বলতে হবে। তবে এটি অভদ্রভাবে না, বলতে হবে সঠিকভাবে। যদি মনে করেন আপনার ওপর অতিরিক্ত কাজ বা দায়িত্ব চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে তবে সুন্দরভাবে জানিয়ে দিন যে, আপনি একটি টিমের সঙ্গে কাজ করতে পারেন, আপনার পক্ষে একা এই কাজ করা সম্ভব নয়। এক্ষেত্রে আপনাকে কৌশলী হতে হবে, অনুরোধটি সরাসরি প্রত্যাখ্যান করবেন না।

গুরুতর সমস্যা হলে

কোনো কাজের ক্ষেত্রে গুরুতর সমস্যার সৃষ্টি হলে মনোবল হারাবেন না। বরং অন্যদেরও ভরসা দিন। সব সমস্যার সমাধানও আছে নিশ্চয়ই। বসুন এবং শান্তভাবে চিন্তা করুন যে এটি কীভাবে চলবে। একজন সিনিয়রের সঙ্গে কথা বলুন যিনি সমস্যাটি গুরুত্ব দিয়ে দেখবেন। সমস্ত কাজ মেইলের মাধ্যমে করুন। মৌখিক আলোচনা গুজবের জন্ম দিতে পারে। তাই কাজের প্রমাণ রাখুন।